রকি আহমেদ
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কাঠগড়ায় স্বামীকে দেখে আপ্লুত রুপা, চাইলেন স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে

ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ। ছবি : কালবেলা
ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ। ছবি : কালবেলা

সকালে শীতের কুয়াশা কাটেনি তখনো। কুয়াশার চাদর ভেদ করে প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় একাত্তর টিভির প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপাকে। এরপর তাকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় নারীদের সেলে রাখা হয় তাকে।

একইভাবে সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে রুপার স্বামী একাত্তর টিভি থেকে চাকরিচ্যুত বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর হাজতখানার পুরুষ সেলে রাখা হয় তাকে। আলাদা সেলে রাখায় তখন দেখা হলো এই সাংবাদিক দম্পতির।

কিছুক্ষণ পর মিরপুর থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালতে হাজির করতে প্রস্তুত করা হয় রুপাকে। হাতে হাতকড়া, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরানো হয় তাকে। এরপর রুপাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আরিফ হাসানের সঙ্গে সারি সারি করে এজলাসে তোলা হয়।

এজলাসে ঢুকে কাঠগড়ায় ওঠার পরেই রুপা তার স্বামী শাকিল আহমেদকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু দেখা না মেলায় উদ্বিগ্ন দেখা যায় তাকে। কয়েক মিনিট পর সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননের সঙ্গে হাজতখানা থেকে সাংবাদিক শাকিলকে এজলাসে তোলা হয়। শাকিল কাঠগড়ায় উঠতেই যেন প্রাণ ফিরে পান রুপা। আবেগে আপ্লুত হয়ে এই দম্পত্তি নিজেদের ভেতর আলাপ করতে থাকেন। অনেক কথা নিজেরা কখনো কানে কানে কখনো হাসিমুখে গল্প করতে থাকেন তারা। কাঠগড়ায় যতক্ষণ সময় ছিলেন নিজেদের ভেতর কথা বলতে থাকেন তারা।

এরপর নানা আসামির মামলায় শুনানি শুরু হয়। কিন্তু সেদিকে তাদের যেন মন নেই। কিছুক্ষণ পরে যখন মিরপুর থানার একই মামলায় এই সাংবাদিক দম্পতির দুজনের গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। এ সময় ফারাজানা রুপা আদালতের কাছে কথা বলার অনুমতি চান। বিচারক তাকে আইনের ভেতরে থেকে কথা বলতে অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়ে রুপা কাঠগড়ার সামনের দিকে এসে বলেন, ‘আমার ছোট্ট শিশু সন্তান আছে। আমি আর আমার স্বামী দুজনই কারাগারে। ৬ মাস হয়ে গেছে। আমাকে জামিন দিন। আমরা স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে চাই।’ শুনানি শেষে আদালত রুপা ও শাকিলের আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

এতে মন মরা হতে দেখা যায় রুপা ও শাকিলকে। তাদের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাংবাদিক শাকিল কালবেলাকে বলেন, কথা বলতে মানা। মুখ বন্ধ আমাদের। এরপর একে একে অন্য আসামিদের মতো রুপা ও শাকিলকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আবার প্রিজনভ্যানে করে সাংবাদিক রুপাকে কাশিমপুর কারাগারে ও শাকিলকে ঢাকার কেরাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণতন্ত্র চাইলে ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে : ফখরুল

মঞ্চে মোদিকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন ঐশ্বরিয়া

হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য প্রচারের ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, বিক্রিও চড়া

মুশফিককে প্রশংসায় ভাসিয়ে যা বললেন দুবারের বিশ্বকাপজয়ী পন্টিং

জকসু নির্বাচন / শহীদ সাজিদের কবর জিয়ারত করল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল

জকসু উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি

ভাঙল শতরানের জুটি, শততম টেস্টে হাসল মুশফিকের ব্যাট

যে কারণে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ খেলতে পারবেন না রাকিব-তপু

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস

১০

দীনেশ চন্দ্র পালের আত্মার চিরশান্তি কামনায় প্রার্থনা সভা

১১

একটানে জালে উঠল ২০০ মণ ইলিশ

১২

এত বড় তারকা হয়েও হামজার মধ্যে বিন্দুমাত্র অহংকার নেই : পাপ্পু

১৩

ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করবেন যেভাবে

১৪

বিএনপিসহ ৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক চলছে

১৫

নিউইয়র্কে ফ্ল্যাট, হীরাখচিত মুকুট ও ব্যক্তিগত বিমান, মিথিলা কি পাবেন সেই স্বপ্নের চাবি?

১৬

বিজয় দিবস উদযাপনে কোনো ধরনের নাশকতার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

গাজীপুরে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

১৮

ডিআরইউ ক্রিকেটে কালবেলার বিশাল জয়, ম্যান অব দ্যা ম্যাচ শেখ হারুন

১৯

মেজর জলিল ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি : রাশেদ প্রধান

২০
X