কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অপহরণ মামলায় ডিবি হারুনের সিন্ডিকেট প্রধান আবু সাদেককে কারাগারে প্রেরণ

সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ (বাঁয়ে) ও আবু সাদেক। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ (বাঁয়ে) ও আবু সাদেক। ছবি: সংগৃহীত

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ডিবি অফিসে নিয়ে ৬ কোটি টাকা চাঁদা আদায়চেষ্টা মামলায় সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের সিন্ডিকেটের প্রধান এস এস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদেককে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ২৭ নম্বর কোর্টের ম্যাজিস্ট্রের জিএম ফারহান ইশতিয়াক আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কোর্ট ওয়ারেন্টমূলে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

এর আগে রোববার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল কাদের। সোমবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হয়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল কাদের বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২১ জানুয়ারি রমনা থানায় জুলফিকার আলী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে আবু সাদেককে ১নং আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, ডিবি পুলিশের সাবেক ডিসি গোলাম সবুর, তৎকালীন একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ ও আবু সাদেকের ম্যানেজার মো. শামিম। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি ৫/৭ জন।

জুলফিকার আলীর অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্যবসায়িক সূত্র ধরে এক নম্বর আসামি আবু সাদেকের নেতৃত্বে ও ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের হুকুমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২৩ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ী জুলফিকার আলীকে অপহরণ করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে তাকে নির্যাতন করে ৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পরে আরও দুবার ডিবি কার্যালয়ে এবং ধানমন্ডির ১ নম্বর রোডে অবস্থিত ড্রিমস বিউটি পার্লার ও ফিটনেস ক্লাবে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।

ওই বিউটি পার্লারটি আবু সাদেকের সিন্ডিকেটের সদস্যদের আড্ডার স্থান। সেখানে বসে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুণসহ আসামিরা বিভিন্ন অপহরণ ও চাঁদাবাজির পরিকল্পনা করতেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবু সাদেক সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিশ্বস্ত হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ড্রেজার ব্যবসার তিনি একচেটিয়া ঠিকাদারি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব: নীরব

‘হামজা আমার দলে হলে বেঞ্চেই বসে থাকত’

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

আফগানদের কাছে হারার পর যা বললেন মিরাজ

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে’

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সঙ্গে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময়

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার

৭ বছর পর শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

১০

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

১১

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

১২

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

১৩

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

১৪

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

১৫

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

১৬

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

১৭

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

১৮

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

১৯

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

২০
X