কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আমার সময় জনতা ব্যাংকের সর্বোচ্চ প্রফিট হয়েছে, আদালতকে বারকাত

আদালত প্রাঙ্গণে ড. আবুল বারকাত। ছবি : কালবেলা
আদালত প্রাঙ্গণে ড. আবুল বারকাত। ছবি : কালবেলা

দুদকের মামলায় রিমান্ড শুনানিতে জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত বলেছেন, ‘আমি এ ঋণ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমার সময় জনতা ব্যাংকের সর্বোচ্চ প্রফিট (লাভ) হয়েছে। জনতা ব্যাংক ডুবাইনি।’

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনে এ রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির ৩ দিনের রিমান্ড চান।

শুনানির একপর্যায়ে আদালত আসামির কিছু বলার আছে কিনা তা জানতে চান। এসময় আবুল বারকাত বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি এ ঋণ সম্পর্কে কিছুই জানি না। ২০২৫ সালে যখন এ ঘটনায় মামলা হয়, টিভি স্ক্রল দেখে এ ঋণের কথা জানতে পারি। এ মামলার অন্য আসামিদের আমি নাম শুনেছি। কিন্তু কখনো দেখিনি। যোগসাজশে ঋণ জালিয়াতি, সেটা তো পরের কথা।’

তিনি বলেন, ‘আমার সময় ২০১৪ সালে জনতা ব্যাংকের সর্বোচ্চ প্রফিট (লাভ) হয়েছে। সর্বোচ্চ গ্রোথ হয়েছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি জনতা ব্যাংক ডুবিয়েছি। কিছু বলার নাই আর। শুনানি শেষে আদালত আসামির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

এদিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে আসামিকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে হাজির করা হয়। এরপর তাকে কাঠগড়ায় তোলা হলে ২ মেয়ে কাঠগড়ায় বাবার কাছে হাজির হন। তখন এজলাসে বিচারক ছিলেন না। এসময় বড় মেয়ের কোলে থাকা নাতিকে কোলে নেন বারকাত। কিছুক্ষণ চুমু খেয়ে আদর করে দেন। বড় মেয়ের সঙ্গে কথা বলা শেষে ছোট মেয়েকে কাছে ডাকেন এ অর্থনীতিবিদ। পরে ৩টা ৪২ মিনিটে ছোট মেয়ের মাথা নিজের বুকে টেনে নিয়ে কপালে চুমু খান তিনি। এসময় বারকাত ও তার মেয়ের চোখ ছলছল করতে দেখা যায়।

জানা যায়, জালিয়াতির মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, অ্যাননটেক্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেড ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। তবে মূলত বড় অঙ্কের বিতরণ ঘটে ২০১৩-১৪ সময়কালে, যখন আবুল বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক আবুল বারকাত প্রথম ওই দায়িত্ব পান ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফরজ গোসল দেরিতে করলে কী হয়? যা বলছেন আলেমরা

স্কুল শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবাদ করায় দাদিকে কুপিয়ে হত্যা

২০২৬ সালের ডিভি লটারিতে বাংলাদেশের নাম থাকা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার

কাল সিইসির সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির প্রতিনিধিদল

নানা বাড়ির ছাদের কার্নিশে পড়ে ছিল স্কুলছাত্রের মরদেহ 

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধিদল

নতুন সাজে নুসরাত ফারিয়া

রংপুরে ‘তিস্তার ডাক’ কর্মসূচি / নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবি

প্যাসিফিক গ্রুপের ৮ কারখানা খুলছে বৃহস্পতিবার

১০

জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ / আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

১১

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে ‘সময় নষ্ট’ করতে চান না ট্রাম্প

১২

‘নিষেধাজ্ঞার সুযোগে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরছে ভারতীয় জেলেরা’

১৩

উত্তরা ইউনিভার্সিটির আয়োজনে গবেষণা ও প্রকাশনা পুরস্কার প্রদান

১৪

নির্বাচনের আগে সহিংসতা হলে কঠোর সিদ্ধান্ত, জানাল ইসি

১৫

কিয়েভে রুশ হামলায় শিশুসহ নিহত ৬

১৬

কী থাকছে ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’-এ

১৭

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

১৮

শুভশ্রীর নতুন 

১৯

রাকসুর নির্বাচিতদের গেজেট রাতে, শপথ ২৬ অক্টোবর

২০
X