রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আমার সময় জনতা ব্যাংকের সর্বোচ্চ প্রফিট হয়েছে, আদালতকে বারকাত

আদালত প্রাঙ্গণে ড. আবুল বারকাত। ছবি : কালবেলা
আদালত প্রাঙ্গণে ড. আবুল বারকাত। ছবি : কালবেলা

দুদকের মামলায় রিমান্ড শুনানিতে জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত বলেছেন, ‘আমি এ ঋণ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমার সময় জনতা ব্যাংকের সর্বোচ্চ প্রফিট (লাভ) হয়েছে। জনতা ব্যাংক ডুবাইনি।’

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনে এ রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির ৩ দিনের রিমান্ড চান।

শুনানির একপর্যায়ে আদালত আসামির কিছু বলার আছে কিনা তা জানতে চান। এসময় আবুল বারকাত বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি এ ঋণ সম্পর্কে কিছুই জানি না। ২০২৫ সালে যখন এ ঘটনায় মামলা হয়, টিভি স্ক্রল দেখে এ ঋণের কথা জানতে পারি। এ মামলার অন্য আসামিদের আমি নাম শুনেছি। কিন্তু কখনো দেখিনি। যোগসাজশে ঋণ জালিয়াতি, সেটা তো পরের কথা।’

তিনি বলেন, ‘আমার সময় ২০১৪ সালে জনতা ব্যাংকের সর্বোচ্চ প্রফিট (লাভ) হয়েছে। সর্বোচ্চ গ্রোথ হয়েছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি জনতা ব্যাংক ডুবিয়েছি। কিছু বলার নাই আর। শুনানি শেষে আদালত আসামির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

এদিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে আসামিকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে হাজির করা হয়। এরপর তাকে কাঠগড়ায় তোলা হলে ২ মেয়ে কাঠগড়ায় বাবার কাছে হাজির হন। তখন এজলাসে বিচারক ছিলেন না। এসময় বড় মেয়ের কোলে থাকা নাতিকে কোলে নেন বারকাত। কিছুক্ষণ চুমু খেয়ে আদর করে দেন। বড় মেয়ের সঙ্গে কথা বলা শেষে ছোট মেয়েকে কাছে ডাকেন এ অর্থনীতিবিদ। পরে ৩টা ৪২ মিনিটে ছোট মেয়ের মাথা নিজের বুকে টেনে নিয়ে কপালে চুমু খান তিনি। এসময় বারকাত ও তার মেয়ের চোখ ছলছল করতে দেখা যায়।

জানা যায়, জালিয়াতির মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, অ্যাননটেক্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেড ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। তবে মূলত বড় অঙ্কের বিতরণ ঘটে ২০১৩-১৪ সময়কালে, যখন আবুল বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক আবুল বারকাত প্রথম ওই দায়িত্ব পান ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অতিরিক্ত চিন্তা বন্ধ হবে ৬ কৌশলে

নিজ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

স্বামী নয়, প্রেমিকের সঙ্গে থাকছেন শিল্পা শেঠি!

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ 

টোডা বিলে লাল শাপলার সমাহার

নাসুমকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন মুমিনুল

গ্রেপ্তার শত শত কোরিয়ানদের ‘অবৈধ এলিয়েন’ আখ্যা দিলেন ট্রাম্প

পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

কাদের সিদ্দিকীর বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা

১০

এত উষ্ণ যে আর টিকছে না, ভেতর থেকে ক্ষয়ে যাচ্ছে

১১

জাহ্নবীকে নিয়ে মশকরায় শামিল হয়ে বিপাকে সোনম

১২

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

১৩

সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন মেয়ে 

১৪

চাঁদপুরে কাঠের মসজিদ ঘিরে মুগ্ধতার শেষ নেই দর্শনার্থীদের

১৫

নারী বাইকারদের ইভেন্ট আয়োজন করায় ক্যাফে সিলগালা

১৬

দুই ঘণ্টার বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার নয় : জাপানি মেয়র

১৭

উপুড় হয়ে ঘুমান? জানুন এতে শরীরে কী হয়

১৮

যেসব ফল নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে

১৯

ঘুমের মাঝে বারবার জেগে উঠছেন? হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি

২০
X