নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৭ জনসহ মোট আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় যৌথ অভিযানে ঘাতক ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে বড়াইগ্রামের আইরমাড়ি ব্রিজ এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ট্রাকচালক মহির উদ্দিন নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে।
নিহতরা হলেন- একই পরিবারের সদস্য ইতি খাতুন (৪০), জাহিদুল ইসলাম (৬০), আঞ্জুমান (৭৫), সেলিম (৬০), আন্না খাতুন (৬০), আনু বেগম (৫৫), শিমা খাতুন (৩৫) ও মাইক্রোবাসচালক সাহাবুদ্দিন (৩৫)। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়ি ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামে।
জানা গেছে, নিহতরা মাইক্রোবাসে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জে রোগী দেখতে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়ার পর বাকি তিনজনেরও মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নাজিম উদ্দিন নান্নু জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহী অভিমুখে যাওয়া একটি ট্রাক বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের তরমুজ তেলপাম্প এলাকায় পৌঁছলে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চালকসহ পাঁচজন মারা যান।
এ বিষয়ে বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ঘাতক ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করা হয় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৯৫/৯৮/১০৫ ধারায়। ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক পালিয়ে যায়। তবে র্যাব ও পুলিশের সমন্বিত অভিযানে তাকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বনপাড়া হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন