সিলেটে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আগামী রোববার (১৭ আগস্ট) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর কে এম নুরুন্নবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। রিটে ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এতে স্বরাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি পরিবেশ সচিব, আইজিপি, সিলেটের জেলা প্রশাসক, কোম্পানিগঞ্জের ইউএনওসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা সোনাখ্যাত দেশের শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর অবাধে লুটপাট করা হচ্ছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসনও কার্যক্রম শুরু করে। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুদকের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগে রাতের আঁধারে মাঝে মাঝে পাথর চুরি হলেও এখন দিনদুপুরেই কয়েক কোটি টাকার সাদা পাথর চুরি হচ্ছে। এর ফলে সাদা পাথর বর্তমানে বিলীন হওয়ার উপক্রম। প্রশাসনের চোখের সামনে বালু-পাথর লুট হলেও কোনো কর্ণপাত নেই। সাদা পাথর লুটের জন্য স্থানীয়রা প্রশাসনকেই দায়ী করছেন তারা।
এদিকে সিলেটে চুরি ও লুট হওয়া সাদা পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে রাস্তায় আটকে দেওয়া হয়েছে পাথরবোঝাই ট্রাক। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে সিলেট ভোলাগঞ্জ সড়কের সিলেট ক্লাবের সম্মুখে যৌথ বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাদাপাথর এলাকা থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের অভিযান জোরদার হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা পাথরগুলো পুনরায় নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে চুরি হওয়া পাথর ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে। চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাদাপাথর থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে তারা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান ও চেক পোস্ট পরিচালনা করছেন। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট ক্লাবের সম্মুখে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান আছে। অপরাধ বন্ধ করতে আমরা জিরো টলারেন্স আছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন