জুলাই আন্দোলনের সময় বাড্ডা থানার মাসুদুর রহমান হত্যা মামলায় পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও গফরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র কায়সার আহাম্মদসহ ৩ জনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। অপর আসামি হলেন ক্যান্টনমেন্ট থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি খায়রুল খান জুয়েল।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর গুলশান জোনাল টিম ডিবির পরিদর্শক এ এন এম নুরুজ্জামান ও মো. মোজাম্মেল হক মামুন পৃথক দুই আবেদনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সকলের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কায়সার আহমেদ ও সাড়ে ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে খায়রুল খান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরের দিন তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৬ নম্বরের একটি বাসা থেকে মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মহিউদ্দিনের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই বাড্ডা থানাধীন লিঙ্ক রোড এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন হাফেজ মাসুদুর রহমান। দুপুর ৩টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন। পরে বিকাল ৪টায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা হয়।
অপর মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল গুলশান থানাধীন গুলশান-০১ এর ১৩৬ নং রোডস্থ জব্বার টাওয়ারের পাশে রাস্তার ওপর অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জন সমবেত হয়। এদিন সাড়ে ৭টায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় এ বছরের ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়।
মন্তব্য করুন