কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সু চি হয়তো আর বেঁচে নেই : ছেলে কিম

সু চি ও কিম। ছবি : সংগৃহীত
সু চি ও কিম। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের কারাবন্দি সাবেক নেত্রী অং সান সু চির স্বাস্থ্যের অবনতি এবং তাকে ঘিরে দীর্ঘদিনের তথ্য-অন্ধকারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার ছেলে কিম অ্যারিস। তিনি আশঙ্কা করছেন, আমার জানামতে তিনি হয়তো বেঁচেই নেই, বা এমনও হতে পারে যে মায়ের মৃত্যু হলেও আমি তা জানতে পারব না।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিম অ্যারিস বলেন, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির সরকার উৎখাতের পর থেকে তিনি বছরের পর বছর মায়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ৮০ বছর বয়সী সু চির হৃদযন্ত্র, হাড় ও মাড়ির নানা সমস্যার কথা মাঝেমধ্যে দ্বিতীয় বা তৃতীয় হাতের সূত্রে জানতে পারলেও নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই।

কিম অ্যারিস বলেন, “তার (সু চি) দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে তাকে কেউ দেখেনি। আইনজীবীদের সঙ্গেও যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি, পরিবারের তো প্রশ্নই আসে না। বাস্তবতা হলো— আমার জানামতে তিনি হয়তো বেঁচেই নেই।”

চলতি মাসের শেষ দিকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার ঘোষিত নির্বাচনকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। অনেক বিদেশি সরকার এই নির্বাচনকে সামরিক শাসন বৈধ করার ‘প্রহসন’ হিসেবে দেখছে। তবে কিম অ্যারিসের মতে, এই প্রক্রিয়া তার মায়ের অবস্থার কিছুটা পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি করতে পারে।

তিনি বলেন, “আমি কল্পনা করতে পারি, জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সু চিকে নিয়ে নিজস্ব এজেন্ডা আছে। যদি তিনি নির্বাচনের আগে বা পরে জনমত শান্ত করতে সু চিকে মুক্তি দেন বা গৃহবন্দি অবস্থায় পাঠান, সেটাই বা কম কী?”

এ বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে জাতীয় দিবস বা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার নজির রয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে একটি নির্বাচনের কয়েক দিন পর দীর্ঘ গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী সু চি। ইয়াঙ্গুনের ইনয়া লেকসংলগ্ন পারিবারিক বাড়িতে দীর্ঘ সময় বন্দি থাকার পর তিনি মুক্ত হন।

পরবর্তীতে ২০১৫ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে সু চি কার্যত মিয়ানমারের শীর্ষ নেত্রীতে পরিণত হন। তবে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নিপীড়ন ও গণহত্যার অভিযোগে তার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি পরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাবা

বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ শিখতে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে যাচ্ছেন রেলের কর্মকর্তারা!

৫ নেতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

ক্ষমতায় গেলে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

বাবার বাড়ি যাওয়া হলো না নীরা বেগমের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশায় গরুর ধাক্কা নিয়ে ৫ ঘণ্টার সংঘর্ষ

বিগ ব্যাশে শাহীন আফ্রিদির দুঃস্বপ্নের অভিষেক

ফয়সালের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়, আর্থিক সমস্যায় টাকা দেবে জানিয়েছিল : আদালতকে বান্ধবী 

বাজারে আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

১০

পদ্মার ১৫ কেজির কাতল ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি

১১

শাকসুতে স্বতন্ত্র প্যানেল ‘সাধারণের ঐক্যস্বর’, লড়বেন ১৭ প্রার্থী

১২

পাহাড় কেটে পানের বরজ, অনুমতিতে লাগছে ১০ হাজার টাকা

১৩

চট্টগ্রামে ভোটের আগে মাঠে নামছেন বিচারকরা, ১৬ আসনে তদন্ত কমিটি গঠন

১৪

যে কারণে বাতিল হলো নরেন্দ্র মোদি ও লিওনেল মেসির সাক্ষাৎ

১৫

খালেদা জিয়া জনগণের অধিকার আদায়ে লড়াই করেছেন : কায়কোবাদ

১৬

বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

এমপি প্রার্থীদের দেহরক্ষী নিয়োজিত থাকবেন যত দিন, যোগ্যতা কী

১৮

ফ্রি ফায়ার গেম খেলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮

১৯

মনোরেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে যানজটমুক্ত করা হবে : মেয়র শাহাদাত

২০
X