খুন করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্স জামিন পেয়েছেন।
আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল মামুন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৫ জুলাই এ মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সরকারি কর্মকর্তা ভুক্তভোগী এক নারী ঢাকার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীও একজন সরকারী কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএস পি সোহেল উদ্দীনের সাথে বাদীনির বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন বাদীনিকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়স্বজন উপস্থিত থেকে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বাদীনি ওইদিন সন্ধ্যা সাতটায় তার আত্মীয়স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হন। সেখানে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে আসামি জানায় কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। বাদীনি সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল উদ্দিন বাদীনিকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে। বাদীনি জানান সোহেল উদ্দীন আগেও বিয়ে করেছিলেন। ওই স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় তিনি সাময়িক বরখাস্ত হন।
উল্লেখ্য, সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বর্তমানে বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। তিনি ৩৬ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন