ঢাকা-৪ আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। পাশাপাশি নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে অবিলম্বে শপথ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তার শপথের আয়োজন করতে বলা হয়েছে সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালত আদেশে বলেছেন, রিটকারী সানজিদা খানম চাইলে যথাযথ নিয়মে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে পারবেন।
আওলাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ইসির পক্ষে শুনানি করেন।
সানজিদা খানমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন, মোতাহার হোসেন সাজু, আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে গতকাল ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই আসনের ১৮টি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের ঘটনা ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।
নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ এবং বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু, আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
ঢাকা-৪ আসনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম মঙ্গলবার সকালে ১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
ঢাকা-৪ আসন সূত্রাপুর (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৪৭), ডেমরা (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮, ৫৯) উপজেলা নিয়ে গঠিত।
এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) আওলাদ হোসেন। আওলাদ হোসেন ২৪ হাজার ৭৭৫টি ভোট পান। সানজিদা খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পান ২২ হাজার ৫৭৭টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট পান।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। নির্বাচন হয় ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেওয়া হয় ব্যালট পেপারে।
২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন, জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, এ ছাড়া অন্যান্য দল থেকে পেয়েছেন ৩টি আসন।
মন্তব্য করুন