বহুল আলোচিত একজন যুগ্ম কমিশনার নারী কর কর্মকর্তাকে অপহরণের পর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি মাসুদসহ জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৬ আগস্ট) এক ক্ষুদে বার্তায় র্যাব জানায়, গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই বিষয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক নারী কর্মকর্তাকে অপহরণ করে গ্যারেজে আটকে নির্যাতন ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক গাড়িচালক ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম মাসুমা খাতুন। তিনি এনবিআরের কর অঞ্চল-২-এ যুগ্মকমিশনার (ট্যাক্স) হিসেবে কর্মরত। গত শুক্রবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর তিনি কৌশলে মুক্তি পান। পর দিন শনিবার এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়। বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ আগস্ট রাত ৮টার দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মাসুমা ও তার গাড়িচালককে মারধর করে কয়েকজন। এরপর সেখান থেকে মাসুমাকে তুলে নিয়ে সবুজবাগ থানা এলাকার একটি গ্যারেজে ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখে তারা। সে সময় নির্যাতনে এই কর্মকর্তার পা ভেঙে যায়। তার চোখও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ছাড়া অপহরণের রাতে যুগ্ম কমিশনার মাসুমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা এবং তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয় চক্রটি। তাকে অপহরণ করতে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা যাবে, এমন আশ্বাস মাসুদ দিয়েছিলেন তার সহযোগীদের।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই দিন বড় মগবাজার থেকে নিজের গাড়িতে করে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফিরছিলেন মাসুমা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছালে তাদের গাড়িতে একটি মোটরসাইকেল গিয়ে ধাক্কা দেয়। চালক গাড়ি থেকে নামলে সংঘবদ্ধ কয়েকজন চাবি কেড়ে নিয়ে গাড়িচালক আনোয়ার ও মাসুমাকে মারধর শুরু করে। এরপর আনোয়ারকে রেখে মাসুমা ও তার গাড়ি সবুজবাগের একটি গ্যারেজে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। মাসুমার মুখ টেপ দিয়ে আটকে রাতভর মারধর করা হয়। পর দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চলে।
মন্তব্য করুন