শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কোটাবিরোধী আন্দোলন

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ

সড়ক অবরোধ করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি : কালবেলা
সড়ক অবরোধ করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি : কালবেলা

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল ও সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে সড়ক অবরোধ করে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।

কোটা বৈষম্যবিরোধী এ বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন ধরনের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস। ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা, হাইকোর্টের রায় মানি না মানব না, কোটা বাতিল করো, বাতিল করো, ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ, মুক্তিযোদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হাফিজ বলেন, ২০১৮ সালে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা চাকরিতে অন্যায্য ও অযোক্তিক কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক কোটা চালু করেন। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় গত ৫ মে মহামান্য হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের এ সিদ্ধান্তকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে প্রহসন মনে করি। আমরা শাবি শিক্ষার্থীরা সারা দেশের শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই দেশে এ বৈষম্যমূলক কোটা অযৌক্তিক। মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় প্রজন্মকে কোটার সুবিধা দিয়ে স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর কোটাপ্রথা চাপিয়ে দিয়েছিল বিভিন্ন সরকারি খাতে।

তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষ হয়ে অর্ধশতক পেরিয়েছে। আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু এখনো সেই কোটা প্রথা শেষ হল না। স্বাধীন দেশে কোটা দিয়ে মানুষের পার্থক্য না করে সরকারের উচিত কোটামুক্ত দেশ গড়া। আমরা এত কষ্ট করে পড়াশোনা করে শিক্ষিত হয়ে লাভ কি যদি এ দেশে একটা ভালো চাকরি না পাই।

রাকিব আরও বলেন, দিন-দিন যুবসমাজে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। কোটার নামে এ দেশকে অচল করে ফেলা হচ্ছে। এ দায় কে নিবে? আমাদের দাবি ২০১৮ সালের পরিপত্র পূণর্বহাল করে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল করা হোক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাবা হলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু

র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে উইন্ডিজ সিরিজে বাংলাদেশকে কী করতে হবে?

এক যুগ পর আবার মঞ্চে পালাকারের ‘ডাকঘর’

অবশেষে হাত মেলালেন ভারত-পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা

যে উপায়ে পেঁয়াজ কাটলে চোখের পানি ঝরবে না

‍‌‌‘রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নির্ভয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে কালবেলা’

‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে কালবেলা জনগণের মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে’

চমক রেখে ওয়ানডে দল ঘোষণা বাংলাদেশের

মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

১০

যশোর বোর্ডে ২০ প্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ

১১

সাদ হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা হাবিব গ্রেপ্তার

১২

স্ত্রীসহ সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা 

১৩

উপদেষ্টাদের কল রেকর্ড কোনো ব্যক্তির কাছে থাকাটা ‘বেআইনি ও ব্লাকমেইলিং’ : রিজভী

১৪

জাতীয় বেতন স্কেল কবে থেকে, জানালেন শিক্ষা সচিব

১৫

ময়মনসিংহে ১৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কেউ

১৬

আবারও একসঙ্গে রাজ-মানজুর-রুমি

১৭

রাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

১৮

আর্জেন্টিনা-মরক্কো ফাইনাল কবে কোথায়

১৯

চট্টগ্রামে ফল বিপর্যয়, পাসের হার কমেছে ১৮ শতাংশ

২০
X