বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার, প্রাধ্যক্ষ, সহকারী প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
এর আগে গত ১১ আগস্ট ছাত্রবিষয়ক পরিচালক (ডিএসএ) অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন ও ছয় সহকারী পরিচালক একযোগে পদত্যাগ করেন। ১৮ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, পাঁচ হলের প্রাধ্যক্ষ, ১০ সহকারী প্রাধ্যক্ষ ও নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক। ১৫ আগস্ট জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), উপাচার্যের সচিব, পিএ, ট্রেজারার দপ্তরের সচিব, রেজিস্ট্রারের সচিব, প্রকল্প পরিচালকসহ ১৩ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়।
রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠানো উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্যের পদ থেকে এই পত্রের মাধ্যমে ভাইস চ্যান্সেলর পদে ইস্তফা দিলাম। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি। তিনি শিক্ষার্থীদের সামনেই পদত্যাগপত্র পাঠান।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সবকিছু মিলিয়ে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব না। আমাকে শান্তিতে থাকতে দাও। আমি চাই না তোমরা আর কোনো ধরনের কিছু কর। আমার সম্মানহানি হচ্ছে অনেকভাবে। আমি সম্মানহানি আর নিতে পারছি না। তোমরা সবাই ভালো থাক।
মন্তব্য করুন