বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার, প্রাধ্যক্ষ, সহকারী প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন। সবশেষ আজ মঙ্গলবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রেরিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্যের পদ থেকে এই পত্রের মাধ্যমে অদ্য অপরাহ্ণে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে ইস্তফা দিলাম। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।
তিনি শিক্ষার্থীদের সামনেই পদত্যাগপত্র পাঠান। পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব না। আমাকে শান্তিতে থাকতে দাও। আমি চাই না তোমরা আর কোনো ধরনের কিছু করো। আমার সম্মানহানি হচ্ছে অনেকভাবে। আমি সম্মানহানি আর নিতে পারছিনা। তোমরা সবাই ভালো থাকো।’
উল্লেখ্য, তিনি তার পূর্বতন কর্মস্থল অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনে (প্রফেসর গ্রেড-১) প্রত্যাবর্তন করেছেন।
এরআগে ১১ আগস্ট ছাত্রবিষয়ক পরিচালক (ডিএসএ) অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন ও ছয় সহকারী পরিচালক একযোগে পদত্যাগ করেন। ১৮ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, পাঁচ হলের প্রাধ্যক্ষ, ১০ সহকারী প্রাধ্যক্ষ ও নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক। এর আগে ১৫ আগস্ট জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), উপাচার্যের সচিব, পিএ, ট্রেজারার দপ্তরের সচিব, রেজিস্ট্রারের সচিব, প্রকল্প পরিচালকসহ ১৩ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়।
মন্তব্য করুন