ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০২:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নীলক্ষেত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি শিক্ষার্থীদের

নীলক্ষেত হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ । ছবি : কালবেলা
নীলক্ষেত হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ । ছবি : কালবেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকার নীলক্ষেত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সুরমান আলীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং অনিয়মের অভিযোগে পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে তার পদত্যাগের দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (পৌনে ১২টা) তাদের সেখানে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভে অংশ নিতে ইমরান হোসাইন নামে স্কুলটির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, এমনকি গার্ডিয়ানদের সঙ্গেও। কিছুদিন আগেও আমাদের ব্যাচমেট একজনের হাত ধরেছেন। তিনি চোখও মেরেছেন একজনকে।

নুর ইয়াসিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, উনি বহিষ্কৃত ছিলেন একসময়। এরপর আবার জয়েন করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে যে আচরণ করেন সেটা একজন শিক্ষকের আচরণ হতে পারে না। অভিভাবক যারা পর্দা করে আসেন তাদেরও মুখ খোলাতে বাধ্য করেন। তিনি তাদেরকে বলেন, আপনি অভিভাবক কিনা সেটা বুঝব কীভাবে? বিশ্বাস করি না। মুখ খোলেন। তার এ সমস্ত কাজের জন্য পদত্যাগ চাই।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক তুচ্ছ কারণেই যে কোনো মুহূর্তে যে কাউকে বহিষ্কার করে দেন। একবার উপরের তলা থেকে নিচ তলায় আসার কারণে একজনকে টিসি দিয়েছেন তিনি। আমাদের ক্লাসের ফ্যান নেই, লাইট নেই, বাথরুমের অবস্থা খারাপ, পানির ট্যাংক ময়লায় ভরপুর, ক্লাসরুমের টেবিল-চেয়ার ভেঙে একাকার অবস্থা। এগুলো উনি ঠিক করেন না। স্কুলে খেলাধুলার সুযোগও দেন না তিনি।

স্কুলের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, সুরমান স্যার মেয়েদেরকে টিজ করে, গায়ে হাত তুলে। এমনকি এক সিনিয়র আপুকে চোখও মেরেছে। তার চরিত্র ভাল নয়। আমাদের স্কুলের কম্পিউটার রুমের কম্পিউটারগুলো নষ্ট বহুদিন ধরেই, কোনো পদক্ষেপ উনি নেননি। আমরা উনার পদত্যাগ চাই।

এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, একজন মানুষ আমাদের দিকে কীভাবে তাকায় সেটা কিন্তু আমরা বুঝতে পারি। উনার তাকানোও ভালো না। আমি পর্দা করি। কিন্তু স্কুলে আসার পর সবসময় উনার চাপে আমার মাস্ক খুলতে হয়, চেহারা দেখাতে হয়। এরকম কেন হবে? আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় কেন হস্তক্ষেপ করা হবে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে? উনি একটা স্বৈরাচার। আমরা উনার পদত্যাগ চাই।

আরেক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যখন অ্যাসেম্বলি ক্লাস করি তখন তিনি গায়ে হাত তুলেন। আমাকে অ্যাসেম্বলি ক্লাসে তুচ্ছ কারণে থাপ্পড় মেরেছেন উনি। কথায় কথায় উনি মেয়েদের শরীরে হাত তুলেন। ক্লাসগুলোতে ফ্যান নষ্ট এবং লাইট নেই। এগুলোর প্রতি উনার কোনো নজর নেই।

আরেকজন বলেন, উনি গণিতের টিচার কিন্তু গণিত কিছুই পারেন না। শুধু যোগ-বিয়োগ করান। ক্লাস নাইনের অঙ্কই পারেন না। ক্লাসে গিয়ে শুধু স্কেল মাপেন।

এক অভিভাবক কালবেলাকে বলেন, আমাদের সন্তানদেরকে নিয়ে স্কুলে আসার পর আমরা একটু বসতে পারি না, আমাদের বসার জায়গার ব্যবস্থা নেই। বাচ্চাদের ক্লাসরুমেও ফ্যান নেই, তারা বসে থাকতে পারে না। প্রধান শিক্ষক এগুলোকে গুরুত্বই দেন না। তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করেন না এবং কয়েকজন মহিলা শিক্ষক রয়েছেন তারাও আন্তরিক নন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার প্রভাসের বিপরীতে কাজল

খালেদা জিয়া দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক : রিজভী

ফিরছে কে-পপ গ্রুপ ‘এনহাইপেন’

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউয়ের প্রতিনিধিদল

এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার

হঠাৎ ফেসবুকে লোগো পরিবর্তন, যা বলছেন নেটিজেনরা

উচ্চ পর্যায়ের নির্বাচনী কর্মশালা স্থগিত 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা মদের আস্তানার সন্ধান

চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হলেন ঢাকার অর্থঋণ আদালতের মুজাহিদুর

স্মিথের চোখের নিচে ‘কালো টেপ’, জানা গেল আসল কারণ

১০

মানিকগঞ্জে শুরু হয়েছে খেঁজুরের রস আহরণের প্রস্তুতি

১১

হুমকির পর মাঠে মিলল কৃষকের গলাকাটা মরদেহ

১২

কেন নাতনিকে বিয়ে দিতে চান না জয়া বচ্চন?

১৩

নবজাতকের টিকা কার্ড করতে দিতে হয় টাকা

১৪

কবে শুরু হবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ, জানাল শ্রীলঙ্কা

১৫

খুব প্রেম করতে ইচ্ছা করছে: স্বস্তিকা দত্ত

১৬

এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩

১৭

আন্দোলনরত শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কঠোর বার্তা

১৮

উঠান থেকে শিয়ালে টেনে নিয়ে গেল শিশুটিকে

১৯

দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই জিয়া পরিবারের শক্তি : তারেক রহমান 

২০
X