বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করেছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বসুন্ধরা আবাসিক ক্যাম্পাসে এ সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্বনামধন্য শিল্পী অদিতি মহসিন রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন। নজরুল গীতি পরিবেশন করেন শিল্পী বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজনে ছিল আইইউবির কাজী নজরুল ইসলাম অ্যান্ড আব্বাস উদ্দিন আহমেদ রিসার্চ সেন্টার এবং স্কুল অব লিবারাল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় আইইউবি মিউজিক ক্লাবের দলীয় সংড়ীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’, কাজী নজরুল ইসলাম রচিত রণসংগীত ‘চল চল চল’ এবং আইইউবি অ্যানথেম ‘আলমা মাতের’ গেয়ে শোনায়। সরোদে কাজী নজরুল ইসলামের অন্যতম প্রিয় রাগ ‘নীলাম্বরী’ বাজিয়ে শোনায় আইইউবির গ্লোবাল স্টাডিজ অ্যান্ড গভর্নেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। তবলায় সঙ্গত করেন সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কুদরাতে খোদা।
আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। আইইউবির শিক্ষার্থীরা দেশের দুজন গুণী শিল্পীর গান শোনার এবং তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য তৌহিদ সামাদ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। বাংলা সাহিত্যে লোকজ ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে তিনি এক নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন।
এর মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য, বিশেষ করে বাংলা কবিতাকে মধ্যযুগীয় ধারার বাইরে এক নতুন রূপ দিয়েছিলেন।
অধ্যাপক তানভীর হাসান বলেন, উদার কলা ও মানবিকী চর্চা যথা, চিত্রকলা, সাহিত্য, সংগীত এবং চলচ্চিত্রের সঙ্গে সখ্য গড়ে না উঠলে একজন শিক্ষার্থীর মাঝে মানবিক গুণাবলি গড়ে ওঠা কঠিন। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সবসময়ই একটি সাংস্কৃতিক আবহ বজায় রাখার চেষ্টা করি।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপউপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, পিএইচডি। উপস্থাপনায় ছিলেন আইইউবির ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেস বিভাগের অধ্যাপক এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যান্ড আব্বাস উদ্দিন আহমেদ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান।
মন্তব্য করুন