কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আবরার ফাহাদকে নিয়ে ঢাবি শিবির সভাপতির স্ট্যাটাস

আবরার ফাহাদ ও  মো. আবু সাদিক। ছবি : সংগৃহীত
আবরার ফাহাদ ও মো. আবু সাদিক। ছবি : সংগৃহীত

শহীদ আবরার ফাহাদকে আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আবু সাদিক কাইয়ুম।

রোববার (৬ অক্টোবর) মো. আবু সাদিক তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ সব কথা লেখেন।

রাত ১১টার দিকে করা তার এই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল :

আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদ। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সম্মুখ সেনাপতি আমাদের প্রিয় আবরার ফাহাদ। নির্যাতিত মজলুম ছাত্র-জনতা আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে জাতির এই সূর্যসন্তানকে।

ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে, দেশকে পরিণত করেছিল ভারতের অঘোষিত কলোনিতে। ভারতের হয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত করা এবং দেশের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক স্বকীয়তাকে পরজীবীকরণ করার হীন কৌশল অবলম্বন করেছিলো পতিত স্বৈরাচার হাসিনা।

এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছিলো, তারাই ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষুতে পরিণত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হিসেবে যাদেরই আবির্ভাব ঘটেছে, তাদেরকেই বরণ করতে হয়েছে মৃত্যুর মতো নির্মম পরিণতি।

আবরার ফাহাদ হত্যার দায় শুধু অই ঘাতক দলেরই না। এই দায় তাদেরও যারা ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত থাকলেই নিপীড়ন করাকে বৈধতা দিয়েছিল। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আবরার ফাহাদের পূর্বে ছাত্রলীগের টর্চার সেলে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বুয়েটের ছাত্র সিরাজুল ইসলামসহ বহু ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থী নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো। কিন্তু ভারতের দোসর ও ইসলামোফোবিক একটা পক্ষ এই নির্মম নিপীড়নে শুধু চুপই থাকে নাই, বরং সক্রিয় সমর্থনও দিয়েছিল।

আল্লাহ শহীদ হিসেবে আবরার ফাহাদকে কবুল করুন এবং জান্নাতের উচ্চ মাকামে পুরস্কৃত করুন। আবরার ফাহাদের শাহাদাত যেন নিপীড়নকে বৈধতা দানকারী অই দোসর গোষ্ঠীর শুভবুদ্ধির উদয় ঘটায়, আল্লাহ তায়া’লার কাছে এই কামনা করি।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আজাদী জিন্দাবাদ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তানিয়া রবের গাড়ি বহরে হামলা নব্য ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি : জেএসডি

মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব : লায়ন ফারুক

মহিপুরে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ

৩৫ ফুট গর্তে একাধিকবার পাঠানো হলো ক্যামেরা, দেখা যায়নি শিশুটিকে

তারেক রহমান কবে ফিরবেন জানালেন ইশরাক

জেলা ছাত্রদল সভাপতির ওপর হামলা

যেভাবে গভীর গর্তে পড়েছিল শিশুটি, জানালেন মা

২৬ টন পলিথিন জব্দ, ৩ জনের কারাদণ্ড

পুরোনো ফোন আমদানি নিয়ে সিদ্ধান্ত দিল সরকার

লোকসান পুষিয়ে নিতে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

১০

নির্বাচন নিয়ে ন্যূনতম সংশয় সৃষ্টির কোনো অবকাশ নেই : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

১১

আবার পিছিয়ে গেল ব্রাকসু নির্বাচন

১২

রাশেদ খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দলের আরেক নেতার

১৩

জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

১৪

এন‌ইআইআর চালু হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর, ফোন নিবন্ধন চলবে মার্চ পর্যন্ত

১৫

ডাকসুর সভায় গুম-খুন বন্ধে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও জাতীয় ঐক্যের দাবি

১৬

২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেইমারকে ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী সান্তোস

১৭

আবারও হাফেজ আনাসের বিশ্বজয়

১৮

ধানের শীষ বিজয়ী হলে দেশ রক্ষা পাবে : তারেক রহমান

১৯

সাতক্ষীরায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

২০
X