বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাকৃবিতে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

বাকৃবিতে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ মঞ্চে অতিথি ও আয়োজকরা। ছবি : কালবেলা
বাকৃবিতে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ মঞ্চে অতিথি ও আয়োজকরা। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিনি সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপের আয়োজন করে ‘জুলাই স্মৃতি পরিষদ’ নামে আত্মপ্রকাশ করা নতুন একটি সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি।

সংলাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও তা পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সংলাপের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল— একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হওয়া উচিত, তা পরিচালনার মূলনীতিগুলো কী হওয়া উচিত এবং বাকৃবি বর্তমানে এসব মূলনীতির কতটুকু মান্য করছে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটসমূহ এবং তার সমাধান নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।

সংলাপে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক উম্মে ফারহানা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ নিজার আলম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

সংলাপে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক উম্মে ফারহানা বলেন, আমরা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আসবে। শুধু একটি চাকরির আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ অপচয় করা অনুচিত। শিক্ষকদের শিক্ষাদানে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বস্তুগত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ নিজার আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু মেধাতালিকাই নয়, বিশেষ গুণাবলিও বিবেচনায় আনা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গঠনমূলক সমালোচনার স্থান, যেখানে সমালোচকের পাশে বসেই আলোচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি মূল স্তম্ভ হলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারের কর্তৃত্ব থাকুক, কারণ এটি লেজুরবৃত্তি সৃষ্টি করে। গবেষণা এবং কাজের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি। শিক্ষকদের নিয়োগে সততা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

সংলাপ শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় ‘জুলাই স্মৃতি পরিষদ’ নামে একটি নতুন সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। জায়াদ হাসান ওয়ালিদকে আহ্বায়ক এবং পুষ্পিতা ভট্টাচার্যকে সদস্য সচিব করে মোট ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নওগাঁয় শীতের তীব্রতায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে 

জুলাই আন্দোলনে আহত না হয়েও প্রতি মাসে ভাতা তুলছেন যুবক

চিড়িয়াখানায় সিংহের কাছে গিয়ে প্রাণ হারাল কিশোর

দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনসিপির সদস্য সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট

ইতিহাস বদলে দিল বাংলাদেশ, যা আগে কখনো ঘটেনি

মেহেদির রং না শুকাতেই নববধূ ইলমা বিধবা

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাকে শোকজ

ভেজাল গুড় খেলেই হতে পারে যেসব জটিল রোগ

১০

শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু ৪১০, নিখোঁজ ৩৩৬

১১

বেগম জিয়ার অসুস্থতা হাসিনার কারণেই : রিজভী

১২

সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশইন বিএসএফের

১৩

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে উৎসবমুখর : প্রধান উপদেষ্টা 

১৪

পর্তুগালের জালে এক হালি গোল দিয়েও মন ভরেনি ব্রাজিলের

১৫

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬

সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া যুবশক্তির ২ নেতাকে অব্যাহতি

১৭

‘আমি আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হবো?’—প্রশ্ন বিজয়ের

১৮

ক্লান্ত ও দুর্বল লাগলে যে ৫ খাবার বাড়াবে আয়রন ও হিমোগ্লোবিন

১৯

কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১২.৩ ডিগ্রি

২০
X