তিন দফা দাবি আদায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থা করছেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রী হলে ছয় মাস অতিথিকক্ষে থাকার পর বৈধ আসন পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এখনো অতিথিকক্ষে অবস্থান করছেন। এই হলের মূল ভবনের কক্ষগুলোতে প্রতিটিতে সাতজনকে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়৷ অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে হলটি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান কালবেলাকে বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ার পরেও গণরুমে জীবনযাপন করছি। আমাদের হল মেয়েদের হলের মধ্যে অনেক ছোট। কিন্তু অনেক বেশি শিক্ষার্থীকে এ হলে বরাদ্দ দেওয়া হয়। চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এখনো রুম পায়নি। আমাদের মূল ভবনে কোনো রিডিং রুম নাই। আমাদের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রোক্টরিয়াল বডির কথা হয়েছে। আমরা আশ্বাস চাই না। আমাদের দাবির বাস্তবায়ন চাই।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ আসন নিশ্চিত করা, পরবর্তীতে হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন শিক্ষার্থী অ্যালটমেন্ট দেওয়া এবং হলের সার্বিক সংকট বিবেচনায় মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা৷
এর আগে, গতকাল রোববার বিকেলে একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে শতাধিক ছাত্রীর স্বাক্ষর-সংবলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন