খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কুয়েটে আন্দোলনকারীদের গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি 

কুয়েটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি। ছবি : সংগৃহীত 
কুয়েটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি। ছবি : সংগৃহীত 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ‘শোকের গ্রাফিতি, এক দফার ডাক’ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে গ্রাফিতির মাধ্যমে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে অডিটরিয়ামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে স্লোগান সংবলিত গ্রাফিতি করেন শিক্ষার্থীরা।

গ্রাফিতিতে শিক্ষার্থীরা ‘নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স, ছাত্র রাজনীতি ক্রস’, ‘বাহ ভিসি চমৎকার, সন্ত্রাসীদের পাহারাদার’, ‘এখানে সমস্ত ক্ষমতাধর নিজেরে ভাবিছে ঈশ্বর, এক দফা এক দাবি, ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’সহ দেয়াললিখনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দাও উত্থাপন করা হয়।

শোকের গ্রাফিতির এক দফা ডাক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী গালিব রাহাত বলেন, আমাদের ভিতর যে চাপা ক্ষোভ, যে ক্ষোভের আগুনটা আমাদের ভিতর জ্বলছে, সেটা আমরা সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। সেটা আমাদের অভিভাবক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়ে দিতে চাই, যেহেতু উনি সব সময় বলে এসেছেন ছাত্ররা নিয়োগ কর্তা। আমরা উনাকে বুঝাতে চাই যে, আমরা ভালো নেই, কুয়েটের ছাত্ররা ভালো নেই, বাংলাদেশের কোনো ছাত্র ভালো নেই আমাদের এই দুর্দশা দেখে। রাতে কেউ ঘুমাতে পারে না আমাদের এই দুর্দশা দেখে। আমরা এভাবে জানিয়ে দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের এক দফা দাবিতে এখনো অনড় আছি। এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু সরব না।

এর আগে, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে, কুয়েটের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তীতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি এই তদন্ত প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার মাধ্যমে শাস্তি বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায় কুয়েট প্রশাসন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন নিয়ে এনসিপির বিশেষ বার্তা

পিবিপ্রবিতে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ডিআইইউসাসের দিনব্যাপী সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ

শিক্ষার্থীদের জন্য পানির ফিল্টার দিলেন ঢাবি ছাত্রদল নেতা

ঢাকা ছাড়াও আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন হয়েছে যেসব জায়াগায়

পাক-ভারত উত্তেজনা : অতীতে কারা পেয়েছে সুবিধা, এবার সামনে কে?

আ.লীগ নিষিদ্ধে ৪ রোডম্যাপ দিলেন তুহিন মালিক

পোপ চতুর্দশ লিওকে অভিনন্দন বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের

বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছে হাসিনার গণহত্যা

১০

রাজধানীতে আপন দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার

১১

ইউটিউবে বাংলাদেশের ৪ টিভি চ্যানেল বন্ধ করল ভারত

১২

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন নিয়ে নতুন কর্মসূচি

১৩

‘এখন যদি খালেদা জিয়া শাহবাগে উপস্থিত হন’, পিনাকীর স্ট্যাটাস

১৪

উত্তেজনার মধ্যে বড় সুসংবাদ পেল পাকিস্তান

১৫

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধীদের ৪ জনকে পিটিয়ে আহত

১৬

হাফ ভাড়া নিয়ে তর্ক, কলেজছাত্রকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে হত্যা

১৭

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রামপুরা ব্লকেড

১৮

ইমরান খানের কারাগারে ড্রোন হামলা চালাতে পারেন মোদি

১৯

সীমান্তে আটক সেই ১৫ বাংলাদেশিকে থানায় হস্তান্তর

২০
X