ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ওয়াসার লাইন বসানোর জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। এতে ধুলোবালিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত সংলগ্ন মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ থেকে টিএসসি এলাকার রাজু ভাস্কর্যের আগ পর্যন্ত ওয়াসার লাইন বসানোর কাজ চলছে। এতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপ টানা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ সৃষ্টি করে ড্রেজিং করা হচ্ছে। জানা গেছে, ওয়াসার পাইপ বসানোর কাজ নীলক্ষেত থেকে শুরু হয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসের ওপর দিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাবে।
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাস্তা খোঁড়াখুড়ি করায় ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বর এলাকায় ধুলোবালির পরিমাণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। মাস্ক ছাড়া হাঁটাচলা সম্ভব হচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো ভিসি চত্বর এলাকায় স্টপেজ দেয়। কিন্তু ওয়াসার কাজ চলমান থাকায় ধুলোবালি ও কাদার মধ্য দিয়ে বাসে ওঠানামা করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে ঢাবির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, এ ধরনের কাজ যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে তখন করা উচিত ছিল। এখন করায় তা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত করছে। এর ফলে আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে।
এদিকে, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জন্য ঢাবি ক্যাম্পাসে বেড়েছে যানজট। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত থেকে টিএসসি সংলগ্ন রাস্তার উভয় পাশে এক লেন করে মোট দুই লেন সড়ক ফিতা দিয়ে ওয়াসার লাইন বসানোর জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। এতে যান চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির গেট থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত রাস্তায় কয়েকটি ক্রেন থাকায় সেখানে বেশি যানজট তৈরি হয়েছে। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে পথচারী শাহীন আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি আজিমপুর থেকে আসছি মেট্রোতে করে উত্তরা যাব। এখন টিএসসি মেট্রো স্টেশনে যাচ্ছি। কিন্তু এই রাস্তায় অনেক যানজট হওয়ায় আমাকে হেঁটে যেতে হচ্ছে। কিন্তু রাস্তায় অনেক ধুলোবালি হওয়ায় ঠিকমতো হাঁটাও যাচ্ছে না।
ভোগান্তি নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ কি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা কালবেলাকে বলেন, এটা ওয়াসার কাজ। এটা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কিছু রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে। সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তারাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এটা যেহেতু জরুরি কাজ এজন্য সবারই কিছু সময়ের জন্য কষ্ট করতে হবে। তবে এই কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান অধ্যাপক বিদিশা।
মন্তব্য করুন