রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কর্মচারী পারভেজ আপেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলার এজাহারভুক্ত ৫০ নম্বর আসামি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে দিকে রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকা থেকে তাজহাট থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারের পর পারভেজ আপেলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
গত বছরের ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বহিরাগতরা লাঠি, রড, ছুরি, রামদা, কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। পুলিশেরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে পারভেজ আপেলকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে দেখা যায়।
গত ৬ মে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে তাজহাট থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৮০ থেকে ১০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ ও ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত করেন। ১১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদের ওপর আক্রমণ করা হয়। ১৬ জুলাই পুলিশ ও বহিরাগত অজ্ঞাতনামা ৮০ থেকে ১০০ জন আসামি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, লাঠিসোঁটা, রড, ছুরি, রামদা, কিরিচসহ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। পুলিশও নিরস্ত্র ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করে।
নগরীর তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সরদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলায় গ্রেপ্তার কর্মচারী আপেলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন