রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সেই ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল হক

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হকের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : কালবেলা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হকের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : কালবেলা

জামায়াত কর্মী ছমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাবরণের ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতায় একটি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রকারীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হক।

এ ঘটনায় জড়িত হাজিরহাট থানার ওসিকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি অপর জড়িতদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল হক এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, একটি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড করতে আমাকে মিথ্যা দুটি মামলায় জড়িয়েছে। সেদিন তাকে গ্রেপ্তারের সময় তিনি থানার ওসিকে জিজ্ঞেস করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে কি না। পরে ওসি পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেন এবং সম্ভবত তার গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পর আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, হাজিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও আমাকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে কিছু নথিপত্র তৈরি করে আদালতে চালান করা হয়।

মাহমুদুল হক জানান, ২০১২ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করলেও নিয়ম অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৯ সালে তিনি প্রভাষক পদে যোগ দেন। তিনি অভিযোগ করেন, নিয়োগে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছিলেন, যিনি পরে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।

সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণে তার ওপর প্রতিশোধপরায়ণ আচরণ শুরু হয় বলে অভিযোগ করেন মাহমুদুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে ৭০৯ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছি এবং পতাকা অবমাননার মামলার বাদী ছিলাম। সেই থেকে ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি।’

তিনি দাবি করেন, অটোচালক মানিক হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ১৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মাহমুদুল হক হত্যা মামলার অভিযোগপত্রেও তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

মিথ্যা মামলাগুলো দ্রুত তদন্ত করে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে হাজিরহাট থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল আল মামুন শাহকে প্রত্যাহার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

মাহমুদুল হক হুঁশিয়ারি দেন, ‘দোষীদের শাস্তি না হলে আমি আইনগত লড়াই চালিয়ে যাব এবং প্রয়োজনে আন্দোলনের পথেও যেতে বাধ্য হবো।’

গত বৃহস্পতিবার নগরীর ধাপ এলাকার তার নিজ বাসা থেকে হাজিরহাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

একনজরে খালেদা জিয়া

শেষ মুহূর্তে তারেক রহমানসহ বেগম জিয়ার পাশে ছিলেন যারা

জকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু সকাল সাড়ে ৮টায়

মারা গেছেন বেগম খালেদা জিয়া

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী বিন্দু

দিনাজপুরে খালেদা জিয়াসহ ৪৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আল্লামা সাঈদীর দুই ছেলে

ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি প্রার্থী গ্রেপ্তার

তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সিলভার সেলিম

১০

মানুষের জীবনমানের উন্নয়নই আমার রাজনীতির লক্ষ্য : মির্জা ফখরুল

১১

খালেদা জিয়া সবচেয়ে সংকটময় সময় অতিক্রান্ত করছেন : ডা. জাহিদ

১২

তিন ঘণ্টা ছিলেন দলীয় কার্যালয়ে / রিজভীর নেতৃত্বে তারেক রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাল বিএনপি

১৩

বিএইউএস-নিকডু’র উদ্যোগে লাইভ অপারেটিভ ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি কর্মশালা

১৪

বিএনপির রাজনীতি হবে জনগণের সেবা ও জবাবদিহিমূলক : রবিউল আলম

১৫

স্থগিত হলো প্রাথমিকের আরও এক নিয়োগ পরীক্ষা

১৬

‘এ নির্বাচন করা আমার জন্য নয়, তোমাদের সবার জন্য’

১৭

কনকনে শীতের রাতে রাস্তায় ভাইয়ের উষ্ণতা হয়ে উঠল বড় বোন

১৮

আমি কোনো অন্যায় করতে পারবো না, জুনায়েদ সাকিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা

১৯

১০ ভরি স্বর্ণসহ যত সম্পদ জামায়াত আমিরের

২০
X