সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট-এর উদ্যোগ ও বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে ‘ডিজিটাল দুনিয়ায় নারীর সুরক্ষা’ বিষয়ক ছোট চলচ্চিত্র ও রিল কনটেস্ট ২০২৫-এর প্রতিযোগী বিজয়ীদের সম্মাননা প্রদান এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগী বিজয়ীদের মধ্যে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এই আয়োজনটির পরিচালনায় সার্বিক সহায়তা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মবিনুল ইসলাম মবিন, স্টাফ রিপোর্টার নিজাম উদ্দিন শিমুল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ারসের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আশিকুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন প্রধান সারা মনামী হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন এবং কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক বিষয়ের সাক্ষী হচ্ছে ঠিক তেমনভাবে গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সাটমিটের এমন কর্মসূচি আসলেই সময়োপযোগী পদক্ষেপ। তাদের এমন কর্মসূচিকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। পরে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণ করা দলগুলোর মধ্য থেকে পাঁচটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। যেখানে প্রথম স্থান অর্জন করেন ‘টিম সিল্ড (Team Shield)’। দলের সদস্যরা হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাতুল খান, তানিয়া তাবাসসুম ও মো. আব্দুর রায়হান।
এ ছাড়া দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে খুলনা প্রকৌশলী ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম মুক্ত করো ভয়’ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম ব্লক (Team Block)’।
প্রথম স্থান অর্জনকারী দলের সদস্য রাতুল খান বলেন, ‘বর্তমান ডিজিটাল যুগে ভুয়া তথ্য ও গুজব সমাজে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। সঠিক তথ্য যাচাইয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে এবং তরুণদের ইতিবাচক কনটেন্ট নির্মাণে উৎসাহিত করতে হবে। তারা আরও উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীরা যদি সচেতন হয় তবে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ পর্যন্ত সবাই উপকৃত হবে।’
এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগী বিজয়ীদের সম্মাননা অনুষ্ঠানটি সাকমিডের ‘ডিজিটাল হুমকি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মী, ছাত্রী ও কমিউনিটি নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের অংশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণী ও নারীদের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষা, তথ্য-যাচাই ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন