

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন কার্যক্রম ভোটার তালিকার ত্রুটি ও জটিলতার কারণে স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয় কমিশন।
তপশিল অনুযায়ী রোববার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়ে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে শেষ হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তারা এ ঘোষণা দেন।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. শাহজামান, নির্বাচন কমিশনার মো. আমির শরীফ, মো. মাসুদ রানা, ড. মোহসিনা আহসান, মো. হাসান আলী ও ড. প্রদীপ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার ড. মোহসিনা আহসান বলেন, হলভিত্তিক ভোটার তালিকার অসঙ্গতি দূর না হওয়া পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণসহ তপশিলের অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এ সময় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, নির্বাচন কমিশন হলভিত্তিক ভোটার তালিকা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করার পর তার দপ্তর থেকে যে ভোটার তালিকা ও হল সংযুক্তি সম্পর্কিত নথিপত্র প্রদান করা হয়েছে তাতে একাধিক গুরুতর অসঙ্গতি, ভুল তথ্য এবং অসম্পূর্ণতা পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ ভোটার তালিকার ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা নির্বাচনী ন্যায়সংগতা, স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতার বিরুদ্ধে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এ তালিকার ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র বিতরণ করলে প্রার্থীদের মধ্যে বৈধতা সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হবে। ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা সংশোধন না করে নির্বাচন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যে সব দপ্তর থেকে ভুল তথ্য সরবরাহ করে কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে সে সব দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির শিক্ষার্থীদের কাছে কমিশনকে হেয় করার কোনো হীন উদ্দেশ্য ছিল কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এ সময় কমিশন রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাছে হলভিত্তিক ভোটার তালিকার সব ভুল, বাদ পড়া, দ্বৈততা এবং অসামঞ্জস্য দ্রুত সংশোধন করে সংশোধিত ও যাচাইকৃত ভোটার তালিকা সরবরাহের আহ্বান জানান। যাতে করে নির্বাচন কার্যক্রম কোনোরূপ বিলম্ব ছাড়াই পুনরায় শুরু করা যায়। সঠিক তথ্য ও নথিপত্র প্রাপ্তির আগ পর্যন্ত কমিশন কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু রাখবে না বলে কমিশন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, নির্বাচন কমিশন যে দপ্তরের কাছে নির্ভুল ভোটার তালিকা চেয়েছিল ও সেখানে সরবরাহকৃত ভোটার তালিকায় ভুল থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত। যে দপ্তর এ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম স্থগিত না করে চালিয়ে যাওয়া ভালো ছিল।
মন্তব্য করুন