

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে আবেদনপত্রে কয়েক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে গত বুধবার আবেদনটি জমা দেওয়া হয়।
যেসব শিক্ষার্থীর নাম আবেদনপত্রে রয়েছে তাদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, তাদের না জানিয়েই আবেদনটিতে তাদের স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে। ব্রাকসু নির্বাচন বানচালের জন্য একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
আবেদনটিতে স্বাক্ষর থাকা ২২ শিক্ষার্থীর মধ্যে কয়েকজনের নাম ভুলভাবে লেখা হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থী ও জুলাই আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমনের নাম ‘শামসুর সুমন’, আরমান হোসেনের নামের জায়গায় ‘আরমান আলী’ ও রহমত আলীর জায়গায় ‘রহমত মিয়া’ লেখা হয়েছে। অন্যদের নামের পাশে আইডি নম্বর লেখা থাকলেও সাবেক ৪ সমন্বয়কের নামের পাশে আইডি নম্বর লেখা নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, আমার নামের শুরু এবং শেষের অংশ জুড়ে দিয়ে স্বাক্ষরিত এ আবেদন উদ্দেশ্যমূলক। এ আবেদন কারা দিয়েছে, সে সম্পর্কে আমার জানা নেই।
গণিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, এ আবেদন সম্পর্কে আমি জানতাম না এবং এ রকম কোনো আবেদনে আমি স্বাক্ষর দিইনি।
আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ‘আমরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চলমান ব্রাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্সের জন্য অতি অল্প সময়ে একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। তাই বিষয় দুটি পুনর্বিবেচনা করে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
ব্রাকসুর নির্বাচন কমিশনার আমির শরীফ কালবেলাকে বলেন, কে কী দিল, আমরা ওটা এখন ভাবছি না। আমরা নিয়ম অনুযায়ী চলবো এবং এভাবেই কাজ চলবে।
মন্তব্য করুন