বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিনটি একাডেমিক ভবনে তালা দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
তালা দেওয়া ভবন তিনটি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন ও কৃষি অনুষদ ভবন, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবন। তবে আড়াই ঘণ্টা পর সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নির্দেশে তালা খুলে দেন নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত প্রহরীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রদলের ৫-৭ জন নেতাকর্মী মোটরসাইকেলযোগে এসে ওই একাডেমিক ভবনগুলোর ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় তালার সঙ্গে ‘অবরোধ’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ডও ঝুলিয়ে দেন তারা। তালা লাগানোর সময় ছিলেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন, সাধারণ সদস্য ও বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মী আব্দুল্লাহ আল নাফী, আব্দুল্লাহ আল নিশাত, সামাদ মুবিন, সিয়াম বিন আইয়ুব প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী ও সদস্যসচিব শামসুদ্দিন চৌধুরী সানিনের নির্দেশেই এ তালা লাগানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বিষয়টি জানতে পেরে নিরাপত্তা প্রহরীদের সকাল ৮টার দিকে তালা খুলে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মোটরসাইকেলের আওয়াজ শুনেছি। পরে বাইরে এসে দেখি কারা যেন গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।’
কেন্দ্র ঘোষিত তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনে তালা লাগানো হয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুদ্দিন চৌধুরী সানিন বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে আমাদের দল তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবরোধকে সমর্থন জানিয়ে আমরা কর্মসূচির অংশ হিসেবে একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছি। আমাদের পর্যায়ক্রমে এমন কর্মসূচি পালিত হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘একাডেমিক ভবনে লাগানো তালা গার্ডদের দিয়ে খুলে ফেলা হয়েছে। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সকালের বাসগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে গিয়েছে।’
মন্তব্য করুন