জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগে ‘শতবর্ষে আবুল মনসুর আহমেদের সাংবাদিকতার প্রাসঙ্গিকতা’বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিভাগটির সেমিনার কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধক হিসেবে সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক ড. কাজল রশীদ শাহীন বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমেদ একাধারে সাংবাদিক, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। ৩০ টাকা বেতনে তিনি প্রথমে চাকরি শুরু করলেও তার কাজ দেখে আকরম খাঁ ৫০ টাকা বেতন দিয়ে মোহাম্মদীতে নিয়ে আসেন। ১৯২৩ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি আইন পেশায় ছিলেন। তিনি কৃষক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম নবযুগের সম্পাদক থাকলেও কার্যত আবুল মনসুর আহমেদই পত্রিকা চালিয়েছেন। তিনি ইত্তেহাদ পত্রিকাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার প্রত্যেকটি কাজের পেছনে রয়েছে যুক্তি ও দর্শন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্রবাদী দেশ হবে।’
আলোচকের বক্তব্যে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের প্রভাষক সালমা সাবিহা বলেন , ‘যেসব প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করেছেন সব প্রতিষ্ঠানেই তিনি প্রশংসা পেয়েছেন। শ্রম, নিষ্ঠা, মেধা ও দায়িত্বশীলতা দিয়ে কর্তৃপক্ষকে করেছিলেন সন্তুষ্ট। পাঠকের চিত্ত জয় করে পেয়েছেন সম্মান। নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক ও সম্পাদকদের আবুল মনসুর আহমেদ আদর্শ হয়ে থাকবেন।’
আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ও সাংবাদিক ইমরান মাহফুজ বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমেদ সমাজের জন্য অনেক কিছু করতে চেয়েছেন। আবুল মনসুর আহমেদ প্রশ্ন করেছিলেন আপনারা উর্দু ভাষায় মুদ্রা চালু করেছেন, আমরা বাংলায় কথা বলি, আপনারা বাংলায় চালু করবেন না? এমন প্রশ্ন বর্তমান সময়ে কোথাও করা যায় না।’
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বিভাগটির মার্স্টার্সের শিক্ষার্থী মোহাসিনা বিজলী।
মন্তব্য করুন