

লা লিগায় আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা একেবারেই নিজের মতো ছিল না ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের। স্বভাবসিদ্ধ গতি আর ধার না থাকায় প্রথমার্ধে বেশ ভুগতে হয় রিয়াল মাদ্রিদের এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে। বারবার বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠেও আলাভেস ডিফেন্ডার জনি ওতোর শক্ত মার্কিং ভাঙতে ব্যর্থ হন তিনি। কালেবের সহায়তায় ওতো কার্যত নিষ্ক্রিয় করে রাখেন ভিনিসিয়ুসকে।
একাধিক ভুল পাস ও ব্যর্থ ক্রসের কারণে হতাশা বাড়তে থাকে। এমনকি গোলের অপেক্ষায় থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও বিরক্ত হতে দেখা যায়। পুরো সময়ে শুধু একটি আলগা শটে আলাভেস গোলরক্ষক সিভেরাকে পরীক্ষা নিতে পেরেছিলেন ভিনিসিয়ুস, সেটিও বড় কোনো হুমকি তৈরি করতে পারেনি। ১–১ সমতায় ম্যাচ যখন বদলির দিকেই গড়াচ্ছিল, ঠিক তখনই নিজের আসল চেহারা দেখান তিনি।
বাঁ দিক দিয়ে দুর্দান্তভাবে জায়গা তৈরি করে নিখুঁত এক ক্রস বাড়ান ভিনিসিয়ুস। সেই বল পেয়ে সহজেই গোল করেন রদ্রিগো—রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যায় ২–১ ব্যবধানে। গোলটি শুধু ম্যাচের ফল বদলায়নি, বরং কোচ জাবি আলোনসোর জন্যও ছিল বড় এক স্বস্তির মুহূর্ত।
গোলের পর টেকনিক্যাল এরিয়ার দিকে ছুটে গিয়ে কোচ আলোনসোকে জড়িয়ে ধরেন ভিনিসিয়ুস। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভ্যালদেবেবাসে যে চাপ ও গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, সেই প্রেক্ষাপটে এই দৃশ্য রিয়াল সমর্থকদের জন্য ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। কোচ ও খেলোয়াড়ের সম্পর্ক নিয়ে যে আলোচনা চলছিল, এই আলিঙ্গন যেন তারই স্পষ্ট জবাব।
এরপরও থেমে থাকেননি ভিনিসিয়ুস। ম্যাচের শেষদিকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। টেনাগলিয়ার সঙ্গে স্পষ্ট শারীরিক সংযোগের পর মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। ভিএআর থেকেও কোনো পর্যালোচনা আসেনি। সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভিনিসিয়ুস প্রতিবাদ করলেও ফল মেলেনি।
৮৯তম মিনিটে বদলি হওয়ার সময়ও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। মাঠ ছাড়ার পর তিনি বলেন, “সংযোগটা পরিষ্কার ছিল। এটা পেনাল্টিই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার ক্ষেত্রেই এমনটা হয়।”
শেষ পর্যন্ত একটি অ্যাসিস্ট, কোচের সঙ্গে প্রকাশ্য সমর্থন আর বিতর্কিত সিদ্ধান্ত—সব মিলিয়ে মেন্ডিসোরোজার রাতটা ভিনিসিয়ুসের জন্য শুরুতে হতাশার হলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে বার্তাবহ।
মন্তব্য করুন