

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) হলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। এরপর আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ থাকা উপাচার্যসহ শিক্ষকরা মুক্তি পেয়েছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ হলগুলোর তালা খুলে দিলে তারা বেরিয়ে যান।
এর আগে দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ডাইনিং সুবিধা না থাকাসহ নানা সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে তা সমাধানের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রশাসনের সঙ্গে দিনভর আলোচনা করে কোনো সমাধান না আসায় রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। এতে অবরুদ্ধ হন ভবনে থাকা উপাচার্যসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষককরা। এ ছাড়া ওই দিন দুপুরে প্রথমে শেখ রাসেল হলের গেটে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিকেলে ও সন্ধ্যায় যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জননেতা আব্দুল মান্নান হলে তালা দেওয়া হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা রাতেই প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেন।
জানা যায়, এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন শেখ রাসেল হলের ডাইনিংয়ে মিল চালুর জন্য দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। এ ছাড়া বাকি দাবিগুলো এখনই সমাধান করতে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান তিনি।
উপাচার্য শিক্ষার্থীদের জানান, রোববারের (২৮ জানুয়ারি) মধ্যে ক্লিনিংয়ের জন্য দুজন জনবলের ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে ফিল্টার, মসজিদে কার্পেট ও ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হবে। দ্রুত ইনডোর খেলারও ব্যবস্থা করা হবে। সব সমস্যা দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও বিভিন্ন অফিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান উপাচার্য।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের হলে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নেই। নেই কোনো ইন্টারনেট ব্যবস্থা। আবাসিক শিক্ষার্থীদের বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হয়। এ কারণে তারা এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা মিটিং করার পরও সমাধান হয়নি। তাই তারা এই দুই হল ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তাদের দাবিগুলো হলো শেখ রাসেল হলের ডাইনিং ও ইন্টারনেট চালু, ইলেকট্রনিক সমস্যার সমাধান, ওয়াশরুম পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা, লোকবল বৃদ্ধি করা, মসজিদে মাইকের ব্যবস্থা ও অন্যান্য সুবিধার ব্যবস্থা করা, সাইকেল-বাইক রাখার গ্যারেজের ব্যবস্থা, ইনডোর আউটডোর খেলার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন