দুবাই প্রবাসী এক ব্যবসায়ীর প্রতারণা ও হামলার শিকার হয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাংলা বিভাগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী আল নোমান। তার ‘এ্যাংকর সম্রাট’ এবং ‘এ্যাকশান সুজের’ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার শিকার হন নোমান।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রয়ারি) বিকেলে ডাকবাংলা মোড় (খুলনা) সংলগ্ন দোকানে দুর্বৃত্তরা দলবল নিয়ে হামলা করে। বিষয়টি জানাজানি হয় শুক্রবার (১ মার্চ)।
ভুক্তভোগী আল নোমানের দাবি, বিগত সাত বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন তিনি। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলনা নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে এ্যাংকর সম্রাট এবং এ্যাকশান সুজ। পরে দুবাই প্রবাসী আল আমিনের সঙ্গে অংশীদারি ব্যবসায় চুক্তিবদ্ধ হন নোমান। চুক্তি অনুসারে তিনি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন। মাসিক লভ্যাংশ প্রথম ছয়মাস ঠিকভাবে দিলেও পরবর্তী মাস থেকে টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকেন আল আমিন। পরে সন্দেহ হলে, নতুন চুক্তি করে ২০ লাখ টাকা ফিরিয়ে নেন নোমান। বাকি ৩০ লাখ টাকা এবং প্রতিমাসে লভ্যাংশ দেওয়ার চুক্তি হয় গতবছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত।
কিন্তু চুক্তি শেষ হওয়ার পরও পাওনার ৩০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকেন আল-আমিন।
পরে গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রয়ারি) টাকা দেওয়ার তারিখ থাকলেও সে টাকা না দিয়ে উল্টো লোকজন নিয়ে এসে ডাকবাংলায় দোকানে ভাঙচুর ও হামলা চালায়।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, দুবাই প্রবাসী আল-আমিন গত তিনমাস আগে দেশে আসলে ফোনে এবং সরাসরি বহুবার তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে প্রতিবার নানা তারিখে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে থাকে। আমাদের ব্যবসায়িক ভাবনা ও তার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে আমরা কখনো তাকে অবিশ্বাস করিনি। কিন্তু গত মঙ্গলবার টাকা দেওয়ার তারিখ থাকলেও সে টাকা না দিয়ে উল্টো লোকজন নিয়ে আমাদের ডাকবাংলা দোকানে ভাঙচুর ও হামলা চালায়। বাকি ৩০ লাখ টাকা ফেরত পাওয়ার আশা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকিও দিয়ে যায়।
আল- নোমান বলেন, আমি খুলনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। হামলায় আমিসহ আমাদের দোকানের কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছে। দোকান ভাঙচুরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণনাশের হুমকিতে মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। একইসঙ্গে ব্যবসার মূলধনের ৩০ লাখ টাকা পাব কিনা জানি না। প্রতারক আল- আমিনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমার কাছে যে মূল নথিপত্র সেগুলো নিয়ে নেওয়া। যখন তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেনি তখন আমার দোকান ভাঙচুর এবং আমাদের ওপর হামলা করে চলে যায়। আমি আমার ৩০ লাখ টাকা ফেরত চাই। এ প্রতারক যেন কারও সঙ্গে এমন প্রতারণা না করতে পারে তার জন্য সঠিক তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আল-আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
খুলনা থানা সহকারী অফিসার নান্নু মন্ডল জানান, আমরা গত মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি। যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি। খুব দ্রুত এ অভিযোগপত্রের সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন