শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তি ব্যবহারে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমগুলোতে স্মার্ট টিভির পরিবর্তে ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ প্যানেল যুক্ত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার।
এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে আজ সোমবার (৫ মে) একটি বৈঠক করেছে। সেখানে নীতিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা-৩ শাখার যুগ্ম সচিব আহমেদ শিবলি জানান, ইন্টারঅ্যাকটিভ প্যানেল যাকে ইন্টারেক্টিভ ডিসপ্লে বা ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডও বলা হয়। এটি একটি ডিসপ্লে ডিভাইস যা ব্যবহারকারীদের স্পর্শ, স্টাইলাস বা অন্যান্য ইনপুট পদ্ধতির মাধ্যমে প্রদর্শিত কন্টেন্টের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করার অনুমতি দেয়। সহজ ভাষায়, এটি একটি বড় আকারের টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে যা একটি কম্পিউটার, হোয়াইটবোর্ড এবং প্রজেক্টরের কার্যকারিতা একত্রিত করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সরাসরি স্ক্রিনে লিখতে, আঁকতে এবং ডিজিটাল কন্টেন্টের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের প্রযুক্তি পর্যালোচনা করবে এবং সেখানে স্মার্ট টিভির পরিবর্তে ইন্টারঅ্যাকটিভ প্যানেল যুক্ত হবে।
আজকের সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন (এলএআইএসই) প্রকল্প এবং অন্যান্য চলমান উদ্যোগের অধীনে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে স্মার্ট টিভির পরিবর্তে ইন্টারেক্টিভ প্যানেল অন্তর্ভুক্তির দিকে নীতিগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
মূলত, ইন্টারঅ্যাকটিভ প্যানেল হচ্ছে একটি টাচ-স্ক্রিন সুবিধাসম্পন্ন বড় ডিসপ্লে। যার মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সরাসরি বোর্ডে লিখতে পারেন, ছবি-ভিডিওতে চালাতে পারেন এবং বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। এটি মূলত স্মার্ট বোর্ডের উন্নত সংস্করণ, যা ক্লাসরুমে ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, স্মার্ট টিভিতে শুধু ভিডিও বা ছবি প্রদর্শনের সুযোগ থাকলেও ইন্টারঅ্যাকটিভ প্যানেল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিমুখী যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করে। এতে পাঠদানে গতি বাড়ে এবং শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন