বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিতে যারা নিষ্ক্রিয় আছেন, তাদের ৫-৬ দিনের মধ্যে তালিকা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অবশ্যই ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। আহ্বায়ক কমিটি যাচাইবাছাই করার পর প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে কমিটি ঘোষণা করবো। রানিং শিক্ষার্থীদের দিয়েই বিভাগের কমিটি দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে ছাত্রদলের মাসব্যাপী ফরম বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির ছাত্রলীগ করার প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সরাসরি ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিল। বর্তমানে ছাত্রশিবির ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করতে চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে এমন করা হলে আমরা মেনে নিব না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের ক্ষেত্র হিসেবে নিজেদের ব্যবহার করছে। ছাত্রলীগের পুনর্বাসন হিসেবে এ ছাত্র সংগঠনগুলো তৈরি হচ্ছে।
সভাপতি আরও বলেন, ছাত্রশিবিরের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছে। সে সম্ভবত ২০০৮-০৯ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার কিভাবে ছাত্রত্ব থাকে? বাংলাদেশের একটি গুপ্ত বাহিনীর একটা আলবটর বাহিনী রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর যারা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তারা আপনাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সেক্রেটারি কত সেশনের শিক্ষার্থী তা স্পষ্ট করবেন।
এ সময় জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, জবি ছাত্রদল বহু গুম খুনের শিকার হয়েছে। এখনো গুম অবস্থায় রয়েছে। এখনো তাদের লাশ খুঁজে পাইনি। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক নিজে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সঞ্চালনার বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফীন বলেন, আমাদের যেসব নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের মূল্যায়ন করবেন।
এ কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত, জবি যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, কাজী জাফর, সুমন সরদার, মাহমুদ হাসান, পরাগ হোসেন সহ বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন