জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার মূল বাজেট এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট পাস করেছে সিনেট।
শনিবার (২৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত ৪২তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব।
গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে মোট বাজেটের শতকরা ২.১৪ ভাগ (৭ কোটি ২৪ লাখ) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বাজেটের শতকরা শূন্য দশমিক ৪৪ ভাগ (১ কোটি ৫০ লাখ) বরাদ্দ ছিল, যা এবার বাড়িয়ে গবেষণা খাতে বাজেটের ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ (৯ কোটি ২৩ লাখ) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বাজেটের শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ (২ কোটি ২০ লাখ) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাজেট পর্যালোচনা করে পাওয়া যায়, বেতন-ভাতা বাবদ ১৮১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৫৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ বেড়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। পণ্য ও সেবা (সাধারণ আনুষঙ্গিক) খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭২ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ২২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ খাতে গত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
পেনশন ও অবসর খাতে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বাজেটের ১১.৯৯ শতাংশ। অন্যান্য ব্যয় বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। যন্ত্রপাতি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। যানবাহন ক্রয় বাবদ ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ। অন্যান্য মূলধন বাবদ ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ।
এদিকে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু খাতে কমানো হয়েছে বরাদ্দ। পণ্য ও সেবা (রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত) খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ খাতে গত বছরের বাজেট ছিল ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। গত বছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ গত অর্থবছরে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এ বছর ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা কমিয়ে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা করা হয়েছে।
উক্ত বাজেটের ২৭৯ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন থেকে দেওয়া হচ্ছে। বাকি অর্থ নিজস্ব সূত্র থেকে আয়কৃত ৪৪ কোটি টাকা থেকে প্রদান করা হবে। বাজেটের নিজস্ব উৎসগুলো হলো- ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত ফিস থেকে ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ভর্তি ফরম থেকে প্রাপ্ত ২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বিভিন্ন চার্জ কর্তন করে ৩ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি থেকে ৩৩ লাখ টাকা, বিভিন্ন উৎস থেকে আয় ১০ কোটি ১৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন