গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে এই হামলা জুলাই বিপ্লবের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক প্লাটফর্ম জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সারাদেশব্যাপী পূর্ব ঘোষিত দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বুধবার যখন দলের নেতাকর্মীরা গোপালগঞ্জ পৌছে, সেখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কর্তৃক হামলার ঘটনায় আমরা (বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন) শিক্ষক প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। আমরা মনে করি এই বর্বরতা শুধুমাত্র রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা নয় বরং জুলাই বিপ্লবের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটানো কাণ্ড। গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করা অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অশনীসংকেত।
‘আমরা মনে করি, এই হামলা শুধু একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাকস্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। এমন ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, এনসিপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সময় নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারা দেশ থেকে তাদের সন্ত্রাসীদের গোপালগঞ্জে জড়ো করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগসমূহ কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে নাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি দিনে দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সামনে বোমা হামলাসহ নানান অস্ত্র সস্ত্র বহনকারীদের প্রতি স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীর নিস্ক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্যণীয়। এতে প্রতীয়মান হয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দোর্দণ্ডপ্রতাপে বিরাজ করছে। তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও পেশাদার আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের সমন্বয়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সমূহকে ঢেলে সাজানো এবং সংস্কার সাধন করতে হবে। কিন্তু এসব কাজে অন্তর্বতীকালীন সরকারের দুর্বলতা আশঙ্কাজনক।
বিবৃতিকারী প্রদানকারী শিক্ষকগণ (জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়)- ১) অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২) অধ্যাপক ড. মুহিব্বুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩) অধ্যাপক ড. খো. লুৎফুল এলাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৪) অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৫) অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়
৬) অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৭) অধ্যাপক ড. মো. শামসুজোহা, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৮) অধ্যাপক ড. আবু খায়ের মোকতাদিউল বারী চৌধুরী, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৯) অধ্যাপক ড. মো. সোহাইবুর রহমান, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১০) মো. কবীর উদ্দিন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
১১) ড. এএফজি মাসুদ রেজা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
১২) শেখ মো. রোকনুল ইসলাম, ডুয়েট
১৩) অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৪) সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫) মাহমুদুর রহমান সাঈদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৬) মোহাম্মদ ফায়সাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৭) অধ্যাপক ড. মো. মমতাজুর রহমান, আইইউবিএটি
১৮) ড. মো. মনজুর হোসেন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
১৯) শাহ্ মো. তানভীর সিদ্দিকী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
২০) ড. মো. মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২১) ড. মো. শামিম মন্ডল, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ
২২) মো: আলমগীর কবীর রাজ্জাকী, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ
২৩) কাউছার আহমেদ, গণবিশ্ববিদ্যালয়।
২৪) রাশেদ মাহমুদ, পিএইচডি গবেষক, ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি
২৫) মো. লিমন হোসেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়
২৬) মাহমুদুর রহমান সাঈদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
২৭) মাহবুব আলম, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়
২৮) মো: সোহেল রানা, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
২৯) ড. শামীম হামিদী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৩০) হাসান মাহমুদ সাকী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৩১) আব্দুল বশির, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়
৩২) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
৩৩) মহিবুল ইসলাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৩৪) অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহহিল বাকী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৩৫) অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার, নিপসম
৩৬) মো. জামিউল ইসলাম, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
৩৭) মো. জিল্লাল হোসাইন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩৮) ড. ইকবাল সরোয়ার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩৯) ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪০) মো. ইউসুফ আলী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৪১) দিদার মুহাম্মদ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ
৪২) মোহাম্মদ সোহাইব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪৩) অধ্যাপক ড. মো. মোমিনুর রহমান, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৪৪) মিসবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪৫) আসাদুজ্জামান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৪৬) ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্তব্য করুন