কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত

ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডিংয়ে মিলল পাইলটের সম্পৃক্ততা

বিধ্বস্ত বিমান। ছবি : সংগৃহীত
বিধ্বস্ত বিমান। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের আহমেদাবাদে গত মাসে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এবার ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডিংয়ের রহস্যময় কথাবার্তা বিশ্লেষণে পাইলটের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। যদি তা সত্য হয় তবে তদন্ত নতুন দিকে মোড় নিতে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডিং এবং রিপোর্টের বিবরণ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দুর্ঘটনার ঠিক আগে ককপিটে পাইলটদের শেষ কথোপকথন বিশ্লেষণ করেছেন তদন্তকারীরা। তাতে দেখা গেছে, বিমানের ক্যাপ্টেন ইঞ্জিনে জ্বালানির প্রবাহ বন্ধ করেছিলেন। আর তা সমাধানে অন্য কর্মকর্তারা কোনো সুযোগই পাননি। এর আগেই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের পরই ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার বিষয়টি ধরতে পারেন। তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করেন, ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল কেন জ্বালানি কাট-অফ সুইচ বন্ধ করে দিলেন। তখন ক্যাপ্টেন ছিলেন শান্ত।

কিন্তু জ্বালানি সুইচ কেনই-বা ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল বন্ধ করবেন? তিনি কি ইচ্ছাকৃতভাবে জ্বালানি সুইচ বন্ধ করেছিলেন? নাকি সেটি কেবল দুর্ঘটনা ছিল?

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, তদন্তকারীরা এখনো নিশ্চিত নন যে, এটি পাইলটের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত ছিল, নাকি দুর্ঘটনাবশত ঘটে গেছে। তদন্ত এখনো চলছে। যদি সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে হয় তবে তদন্ত অন্যদিকে মোড় নেবে।

এর আগে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের মাত্র তিন সেকেন্ড পরেই উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচগুলো প্রায় একসঙ্গে ‘চালু’ অবস্থা থেকে ‘বন্ধ’ (কাটঅফ) অবস্থায় চলে যায়। এর ফলে ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটির গতি দ্রুত কমতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি নিচের দিকে নামতে শুরু করে এবং বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হন।

সাধারণত কাটঅফ সুইচগুলো গন্তব্যের বিমানবন্দরে পৌঁছে বা কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে বন্ধ করা হয়। কিন্তু ওই ফ্লাইটে এমন কোনো জরুরি অবস্থা হয়েছিল কি না, তা-ও প্রতিবেদনে পরিষ্কার নয়।

এ বিষয়ে মার্কিন উড়োজাহাজ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জন কক্স বলেন, একজন পাইলটের পক্ষে ভুল করে এই সুইচগুলো নাড়ানো সম্ভব নয়। এগুলো অতি সহজে সরেও যায় না। কাটঅফ অবস্থানে চলে গেলে ইঞ্জিন সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দুঃসাহস মেনে নেওয়া হবে না’

১৬ বছর পর প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা, সম্ভাব্য তারিখ জানিয়ে চিঠি

লামার পর্যটনকেন্দ্র ও রিসোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছে

নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে ষড়যন্ত্র চলছে : আসাদুল হাবিব দুলু

ইরানে ফের হামলার পরিকল্পনা

কথাবার্তা পরিষ্কার, নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না : রাশেদ প্রধান

আগস্টের প্রথম দশকেই এসএসসির পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল

ফ্যাসিবাদীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : দুলু

কারও ভুলের কারণে যেন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয় : এ্যানি

জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১০

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকে প্রধান উপদেষ্টার আম উপহার

১১

তারা চায় আমরা ফাঁদে পা দিই : মির্জা ফখরুল

১২

চট্টগ্রামে রোববারের গণ ও পণ্য পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

১৩

‘রানী’ দাপটে জিতল বাংলাদেশ

১৪

ক্যাম্পাসের পুকুরে ভেসে উঠল ইবি শিক্ষার্থীর মরদেহ

১৫

এনসিপিকে ‘পরামর্শ’ দিলেন সালাহউদ্দিন 

১৬

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জামায়াতের বিক্ষোভ

১৭

ইরানের গুপ্তচর ছিলেন ইসরায়েলি সেনা, অতঃপর...

১৮

আ.লীগ আমলের ৯৬ পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল

১৯

সাইবার জালিয়াতি ঠেকিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মাননা পেল শ্রীলঙ্কার ব্যাংকের কর্মকর্তারা

২০
X