তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দেবেন আর বিএনপির লোকজন ঘরে বসে থাকবে এ ধারণা আপনাদের ভুল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
তিনি বলেন, তারেক রহমান সেই সন্তান, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সন্তান। যিনি ৯ বছর রাজপথ প্রকম্পিত করে শাসক এরশাদের পতন ঘটিয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। তারেক রহমান আমাদের আবেগ, আমাদের বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুলু বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। অথচ সরকারকে এ বিষয়ে দায়ী না করে বিএনপি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দায়ী করে যা তা স্লোগান দিচ্ছে একটি রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী পক্ষ। এটি হাস্যকর। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে বলেই আজ গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবেন না, ঘোলা পানি পরিষ্কার করতে বিএনপির সময় লাগবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
দুলু আরও বলেন, রাজনীতি এত সোজা না, শিখতে অনেক সময় লাগে। আমরা ১৬ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছি, গুম-খুনসহ যত রকম নিপীড়ন, সবই সহ্য করেছি, তবুও মাথা নত করিনি। আর আপনারা একদিনে ভাতের হোটেলে গিয়ে লিখে দিলেন আন্দোলন প্রত্যাহার! এরপর আবার আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস শেখাবেন- খুব কষ্ট লাগে।
গোপালগঞ্জ প্রসঙ্গে দুলু বলেন, আমরা চাই না গোপালগঞ্জের মতো কিছু আর কোথাও সৃষ্টি হোক। সেখানে এনসিপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের হামলার নিন্দা জানান তিনি।
দুলু বলেন, সোহাগ হত্যায় যারা জড়িত তারা কোনো দলের হতে পারে না। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে। আমরা চাই, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা তার বক্তব্যে বলেন, একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক, আমরা তা চাই। জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, আমরা তাকেই স্যালুট করব।
যুবদলের মিছিল ও মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান ভিপি আনিস। মিছিলটি রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিশন মোড়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে লালমনিরহাট জেলা যুবদল, জেলার পাঁচ উপজেলার যুবদলের বিভিন্ন স্তরের অন্তত ১০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন