ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চলমান ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মো. মাহদী হাসান খান (২২) ও মো. আব্দুর রহমান সোহান (২০) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকায় সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। সিআইডি কার্যালয়ের মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক (ভুয়া) আইডি খুলে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যায় বলে বিজ্ঞাপন দিত।
সিআইডি জানায়, আসামি মো. মাহদী হাসান খান ২০২৩ সাল থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ফেইক ফেসবুক আইডি ও পেইজ খুলে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময়ে ওই আইডিগুলো সচল করে এবং ফেসবুকে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় মর্মে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের ফেসবুক আইডি/পেইজ থেকে ব্লক করে দেয়। অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সে তার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করে ভুয়া নামে পার্সোনাল ও মার্চেন্ট এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি, এইচএসসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার আগে ওই পরীক্ষা সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে পরীক্ষার আগে ১০০% কমন প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিজ্ঞাপন দিত ও কমেন্ট সেকশনে কমেন্টস করত। তার বিজ্ঞাপন ও কমেন্টস দেখে পরীক্ষার্থীরা তার সাথে যোগাযোগ করলে প্রশ্ন দেওয়ার কথা বলে অগ্রীম টাকা নিয়ে তাদের ব্লক করে দিত।
গোয়েন্দা সংস্থাটি জানায়, গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি মো. আব্দুর রহমান সোহান পূর্বে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন হাউসে চাকরি করত। সেই সুবাদে সে কোনোরকম কাগজপত্র ছাড়াই ভুয়া দোকানের নামে এমএফএসের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে দিত। প্রতারণার টাকা লেনদেনের জন্য সেই মার্চেন্ট সিম আসামি মো. মাহদী হাসান খানের কাছে সরবরাহ করত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইবার পুলিশ সেন্টারে তদন্তাধীন ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতারণার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন