মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটি আগস্টের শেষ দিকে গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার (১৯ জুলাই) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহু রকমের। শিক্ষকদের যোগ্যতারও ভিন্নতা রয়েছে। সবকিছুকে এক জায়গায় নিয়ে আসা দুরূহ কাজ। এছাড়া, নির্বাচনের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিটি পূরণ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। বিশেষভাবে এই মুহূর্তে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক এই অবস্থার মধ্যে আর্থিক বিরাট একটি বোঝা কাঁধে নেয়া কোন সরকারের পক্ষেই সম্ভব নয়। নির্বাচন ও আর্থিক সমস্যা মাথায় রেখে কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে সম্ভব এবং কিভাবে করলে আমাদের শিক্ষা এবং শিক্ষকের মানোন্নয়ন সম্ভব; কিভাবে এই বিষয়টি করতে পারবো এবং তার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা কতটুকু এগুলো বিষয় দেখার জন্য দুটি কমিটি আমরা করে দিচ্ছি।
দীপু মনি আরও বলেন, শিক্ষকরা যে জীবন মানোন্ননের লক্ষ্য জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছেন, এখানে যাতে কোন বৈষম্য না থাকে সেটি গবেষণার বিষয়— এজন্য একটি কমিটি করে গবেষণা করে দেখার জন্য তাদের দায়িত্ব দেয়া হবে। আর এর সাথে সংশ্লিষ্ট আর্থিক বিষয়টি গবেষণা করে দেখার জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করে দেয়া হবে; তারা দেখবে এতে আমাদের আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী কতদূর আগানো সম্ভব বা কতদ্রুত এটি আমরা দিতে পারব। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতনসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ অনেক খরচই সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানসমূহে দেয়া হয়, কিন্ত সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের আয় থেকে কোন অর্থ নেয় না; এই পুরো ব্যাপারটি গবেষণা করে দেখারও বিষয় আছে।
আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে এই দুইটি কমিটি গঠন করে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, এই দুটো কমিটি করার জন্য উপযুক্ত বিশেষজ্ঞ খুঁজে বের করতে হবে আমাদের। আমরা আশা করি আগস্ট মাসের মধ্যে এই দুটো কমিটি গঠন করে দিতে পারবো। তারপরে কমিটিকে তাদের কার্য পরিধি ঠিক করে দিতে হবে এবং কাজসমূহ সম্পন্ন করবার জন্য কমিটিকে সময় দিতে হবে।
সভায় মন্ত্রী বলেন, আমাদের গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করে শীতকালীন ছুটির সাথে সমন্বয় করা হবে। ছুটি যেহেতু বাতিল করা হলো, তাই ক্লাস নিয়মিত হবে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠদান ও মূল্যায়ন শেষ করতে হবে। এছাড়াও একই সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে বিদ্যালয়গুলো সকল বার্ষিক পরীক্ষা।
মন্তব্য করুন