প্রাক্তন স্বামীর মেয়ের বিয়েতে গিয়ে যেন অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়তে হলো অভিনেত্রী কাল্কি কোয়েচলিনকে। অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে বহু আগেই বিচ্ছেদ হলেও, সম্পর্কের সুতো যে একেবারে ছিঁড়ে যায়নি, তা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সমাজ কি সবকিছু কখনো সহানুভূতির চোখে দেখে? অনুরাগের কন্যার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সেই মুহূর্তে উপস্থিত থেকে এক বন্ধুর দায়িত্ব পালন করলেন কাল্কি, আর তাতেই তার ওপর নেমে এলো কটাক্ষের ঝড়।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে ‘দেব ডি’ ছবির শুটিংয়ে প্রেমে পড়েন অনুরাগ-কাল্কি। ২০১১ সালে বিয়ে, আর ২০১৫ সালে বিচ্ছেদ। সে সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কাল্কি। অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন, সুস্থ থাকতে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হয়েছিল তাকে।
এর আগে অনুরাগ প্রথম স্ত্রী আরতি বজাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ করে কাল্কিকে বিয়ে করেছিলেন। তবে সেই দাম্পত্যও টেকেনি।
এ বিষয়ে কাল্কির বলেন, ‘প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হয়েছিল। ভালোবাসার মানুষকে অন্য কারও সঙ্গে দেখা সহজ নয়। তবে ওর জীবন থেকে দূরে সরে যেতেই ধীরে ধীরে নিজেকে সামলে নিতে পেরেছিলাম। এখন মাঝেমধ্যে আমাদের দেখা হয়, কথা হয়, মোটের ওপর সব স্বাভাবিক আছে।’
মাত্র ১৩ বছর বয়সে মা-বাবার বিচ্ছেদ দেখেছিলেন কাল্কি। তার প্রভাব যে জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই পড়েছে, তাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তার মতে, সেই শৈশবের ক্ষতই অনুরাগের সঙ্গে তার সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছে। তবে আজও প্রাক্তন স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘অনুরাগের জন্যই বলিউডের ৩০০-৪০০ মানুষকে চিনি।’ তাই অনুরাগ কাশ্যপের মেয়ে আলিয়া কাশ্যপের বিয়েতে যাওয়ার জন্য দ্বিতীয়বার ভাবেননি কাল্কি।
অনুরাগের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করেন অভিনেত্রী। ২০২০ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। এরপর ২০২৪ সালে প্রেমিক গাই হার্সবার্গকে বিয়ে করেন কাল্কি।
মা হওয়ার কারণে তাকে একাধিকবার কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল, তবু থেমে থাকেননি অভিনেত্রী। বর্তমানে গাই এবং কন্যাকে নিয়ে গোয়ায় বসবাস করছেন কাল্কি কোয়েচলিন।
মন্তব্য করুন