রাজপথ, বন্যা, রাজনৈতিক উত্তেজনা আর একঝাঁক সাহসী শিল্পীর নিরলস পরিশ্রম—সবকিছুর মিশেলে তৈরি হয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘ফ্যাঁকড়া’। বহুল প্রতীক্ষিত এই সিরিজটি ৮ মে মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে।
মুক্তির ঠিক আগের দিন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত হয় এক ঘরোয়া সংবাদ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আসিফ চৌধুরী, প্রধান অভিনয়শিল্পী শ্যামল মাওলা, নিশাত প্রিয়ম, নিদ্রা দে নেহা, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, সারা আলম, পার্থ শেখ, মীর রাব্বি, হাশনাত রিপন, এ কে আজাদ সেতুসহ অনেকে।
শুধু অভিনয় নয়, ‘ফ্যাঁকড়া’র শুটিংয়ের পেছনের গল্পও যেন আরেকটি থ্রিলার। কোথাও বন্যা, কোথাও রাজনৈতিক উত্তেজনা, কোথাও আবার বাস্তব ডাকাত পাহারা—সব পেরিয়ে দাঁড়িয়েছে এই সিরিজ।
অভিনেতা আব্দুল্লাহ আল সেন্টু বলেন, ভেবেছিলাম দর্শকদের জন্য কামড় দিতে আসছি, কিন্তু শুটিংয়ে গিয়ে দেখি, নিজেরাই কামড়ে পড়েছি। এক কাপড়ে থাকতে হয়েছে, রাস্তায় কাটাতে হয়েছে রাত। এই কাজটা আমাদের জন্য সাহসের চরম পরীক্ষা ছিল।
মূল চরিত্রে থাকা শ্যামল মাওলা জানান, ‘জুলাই বিপ্লবের পর আমরা যখন শুটিং করি, চারদিকেই তখন অস্থিরতা। এমন সময়েও থেমে থাকিনি। এমনকি ডাকাত পাহারা দিয়ে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। এটা আমাদের কাছে শুধুই অভিনয় নয়, দায়িত্বও ছিল।’
অভিনেত্রী নিশাত প্রিয়ম বলেন, ‘এই চরিত্র একদমই নতুন আমার জন্য। ডাবিংয়ের সময়ও বারবার মনে হয়েছে, পুরো সিরিজটা দেখতে চাই। আমার পরিচালকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, এমন চরিত্রে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
সিরিজে ‘গোলাপী’ চরিত্রে অভিনয় করা নিদ্রা দে নেহা বলেন, ফ্যাঁকড়ার গোলাপী কিন্তু নামের মতো কোমল না। পুরো শুটিংয়ে এক পোশাকে ছিলাম, কোনো মেকআপ নিইনি। কিন্তু ইউনিটের সবাই এতটাই সহযোগিতাপরায়ণ ছিল যে, শুটিংটা সহজ হয়ে গেছে।
পরিচালক আসিফ চৌধুরী বলেন, “‘ফ্যাঁকড়া’ শুধু একটি থ্রিলার নয়, এটি এক যন্ত্রণাময় ও মানবিক গল্প। এখানে আছে ভালোবাসা, আত্মত্যাগ, প্রতিশোধ এবং অপরাধের জটিল জগৎ। শুটিং করতে গিয়ে ডিজিএফআই-এর মুখোমুখিও হতে হয়েছে আমাকে। কিন্তু কোনো বাধাই আমাদের থামাতে পারেনি।” তিনি সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তির কথাও আভাসে জানিয়ে দেন।
মন্তব্য করুন