

ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাটি হত্যাকাণ্ডে রূপ নেওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে এ তারকার মৃত্যুরহস্য। একের পর এক পুরোনো তথ্য ও সাক্ষাৎকার ঘুরে ফিরে আসছে আলোচনায়।
সালমান শাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক এবং মামলার ৪ নম্বর আসামি খল অভিনেতা আশরাফুল হক ডন। সম্প্রতি এই মামলার আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। একই সঙ্গে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে যাতে কেউ পালাতে না পারেন।
এমন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শাহরিয়ার নাজিম জয়ের জনপ্রিয় শো ‘সেন্স অব হিউমার’-এ দেওয়া ডনের পুরোনো সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও।
সেখানে জয় সরাসরি প্রশ্ন করেন, ‘সালমান ভাইয়ের আত্মহত্যার কারণ কে হতে পারে—ওনার মা না ওনার স্ত্রী? এককথায় বললে কী বলবেন?’
প্রত্যুত্তরে ডন বলেন, ‘এটা ফ্যামিলিগত ব্যাপার। সালমান ভাই মেন্টালি আপসেট ছিলেন।’
তবে একই সাক্ষাৎকারে সালমানের মৃত্যুর দিনটি নিয়ে ডন বলেন, ‘সেদিন ছিল শুক্রবার। আমি তখন বগুড়াতে ছিলাম। সকালে এলাকার ছোট ভাই-বান্ধবদের সঙ্গে নদীতে নৌকায় খিচুড়ি পাকিয়ে খাচ্ছিলাম। হঠাৎ নদীর ঘাটে গিয়ে শুনলাম, লোকজন বলছে—ডন ভাই, আপনি এখানে! সালমান শাহ তো মারা গেছে। তখন আমি ভেবেছিলাম হয়তো গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। কারণ সালমান খুব ভালো ড্রাইভার ছিল। ওর গাড়িতে উঠলে আমি সুরা পড়ে উঠতাম।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাড়ি ফিরে সন্ধ্যা ৭টার খবরের সময় টিভিতে দেখলাম সালমান মারা গেছে। তখনো বুঝতে পারিনি কী কারণে মারা গেছে। পরে শুনলাম বাসায় মারা গেছে, তখন মনে হলো কোনো সমস্যা হয়েছে।’
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন সালমান শাহ। তার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন— সামিরা হক, আশরাফুল হক ডন, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, রুবি (মেফিয়ার বিউটি সেন্টার), আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ।
এর মধ্যে রেজভী আহমেদ ফরহাদ এক জবানবন্দিতে দাবি করেছিলেন ‘এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড। কয়েকজন মিলে সালমান শাহকে হত্যা করা হয়, যার সঙ্গে সামিরা ও ডনও জড়িত ছিলেন।’
মন্তব্য করুন