সমকামিতার বিষয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। সেখানে টেনেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের প্রসঙ্গও। পোস্টে বন্যা মির্জা সমকামিতা ছাড়াও নাটকে পতিতা চরিত্রে তার অভিনয়ের অভিজ্ঞতাও বলেছেন।
অভিনেত্রী বন্যা লিখেছেন, ‘ভাই রে! প্রেম কেবল নারীর সাথে পুরুষের হবে এটা হলো পুরুষের ভাবনা। সবকিছুই পুরুষদের পেতে হবে! আর সমকামিতাও একটা কোনো বিশেষ বিষয় না। তারও হাজার রকম আছে। শিখছেন একটা শব্দ, ওটা নিয়ে বসে আছেন! জগতে কতরকম জেন্ডার আছে। তাহলে সবার আলাদা ভাবনাও আছে। এটাই তো স্বাভাবিক বিষয়!
এরপর নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটি গল্প বলেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি যখন একজন ‘পতিতা’র চরিত্র করি, তখন ‘পতিতা’ চরিত্র কেউ করতে চাইতেন না। ফলে আমার কাছে আসত, আর আমি করতাম। এইডস রোগের নামও তখন নতুন শুনছি আমরা। তো গল্পের সেই পতিতার আবার এইডস হলো। বিষয়বস্তু মোটামুটি এ রকম’।
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘আমার কলিগরা তো বললেনই এ রকম চরিত্র করা আমার ঠিক হয়নি। এমনকি আমার তৎকালীন বয়ফ্রেন্ডও মোটামুটি ধরেই নিলেন যে, আমারই এইডস হয়েছে! গালি তো দিলেনই, নোংরা কথায় নানা রকম খোঁটা দিতে থাকলেন। আমি নাকি বেশি স্মার্ট হয়ে গেছি। নাটকের নাম ‘খণ্ড-ৎ’। নজরুল কোরেশীর পরিচালনা। তারপর ‘রোদ মেখো সূর্যমূখী’, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত। এখানে আবার ‘পতিতা’কে দেখানো হয় প্রেগনেন্ট অবস্থা থেকে। সেই ‘পতিতা’ নিজেই নিজের বাচ্চা প্রসব করায়, নিজের নাড়ি কাটে, বাচ্চা বের করে। পুরা দৃশ্যটাই নাটকে দেখানো হয়। তারপর তো আরও অনেক নাটক করেছি।
পরে দেখলাম, আর যাই হোক ‘পতিতা’ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা হতে কত জরুরি! এবং অনেকেই করলেন। গোলাপী ফিতা আর গোলাপী লিপস্টিক দেওয়া অভিনয় দেখলাম! পোস্টের শেষে তিনি লিখেছেন, ‘ভাই রে! পতিতাও একরকমের জীবন বা পেশা না যে গোলাপী ফিতা দিয়েই সারবেন! তো, আমার মনে হচ্ছে, কদিন পরে আপনারাই ঝাঁপিয়ে পড়বেন সমকামী চরিত্র করার জন্য যাতে আপনাদের সুঅভিনেতা বলা হয়। তখন বাঁধনকে কিছু একটা ক্রেডিট দিয়েন। এখন বরং চুপ থাকেন!’
মন্তব্য করুন