জয়া আহসানের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে চন্দন রায় সান্যাল খোলামেলা কথা বলেছেন। তার কথায়, ‘জয়ার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লাগল। খুব সহজ একজন মানুষ।’ তিনি আরও জানান, ছবিতে থাকা ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের জন্য তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা জরুরি ছিল। ‘আমরা কেউ আগে একে অপরকে চিনতাম না। ফলে, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হওয়াটা দরকার ছিল। একটা কাপলের কেমেস্ট্রি যদি ঠিকমতো তুলে ধরতেই না পারি তাহলে সেটা ভালো হবে না।’
পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, যাকে টনি দাদা নামেও ডাকা হয়, তাদের একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে এবং গল্প, আড্ডা দিতে উৎসাহিত করেছিলেন। চন্দন বলেন, ‘টনি দাদা বলেছিলেন একে অপরকে চিনতে; গল্প করতে, আড্ডা মারতে। আমরাও সেই মতো ঘুরেছি, খেয়েছি, আড্ডা মেরেছি। অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিলাম একে অপরের সঙ্গে। ফলে আর অসুবিধা হয়নি।’
জয়া আহসানও প্রায় একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার কিছুই মনে হয় না। কারণ, এরকম দৃশ্যের জন্য খুব কমফোর্ট জোন তৈরি করা হয়েছিল। আর জানতাম টোনিদা খুব অ্যাসথেটিক্যালি শুট করবে। ফলে আমার চেয়ে অনেক বেশি চিন্তা ছিল টোনিদার, আমি একেবারেই চিন্তা করিনি।’
বাংলাদেশের দর্শকদের কাছেও জয়া আহসানের ওপার বাংলার কাজ নিয়ে বরাবরই আগ্রহ রয়েছে। ‘ডিয়ার মা’ সিনেমাটি নিয়েও দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিশেষ করে জয়া-চন্দনের নতুন জুটির রসায়ন এবং ছবির সংবেদনশীল গল্প ঘিরে। এখন দেখার পালা, ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে কতটা সাড়া ফেলে।
মন্তব্য করুন