কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বার্ধক্য থামিয়ে দেওয়ার অবাক করা উপায় পেলেন বিজ্ঞানীরা

তরুণ ও বার্ধক্যের ছাপ পড়া চেহারা। ছবি: সংগৃহীত
তরুণ ও বার্ধক্যের ছাপ পড়া চেহারা। ছবি: সংগৃহীত

বার্ধক্য থামিয়ে দেওয়ার অবাক করা উপায় বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রক্রিয়ায় বার্ধক্যকের ছাপ পিছে ফেলে জেগে উঠবে তারুণ্য। টেক্সাসের এক গবেষক দল এটি আবিষ্কার করেছেন।

বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা এমন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যা বৃদ্ধ মানবকোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে তাদের শক্তি–উৎপাদনকারী অংশ মাইটোকন্ড্রিয়াকে সক্রিয় করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোষে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা ও কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। এর ফলে হৃদরোগ, স্নায়ুজনিত সমস্যাসহ বহু বার্ধক্য–সম্পর্কিত রোগ দেখা দেয়।

এই সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বিশেষ ধরনের অতিক্ষুদ্র কণা—ন্যানোফ্লাওয়ার। ফুলের মতো আকৃতির এই কণাগুলো কোষের ক্ষতিকর অক্সিজেন অণু (reactive oxygen species) শোষণ করে এবং কোষে এমন জিন সক্রিয় করে যা নতুন মাইটোকন্ড্রিয়া তৈরিতে সহায়তা করে। মলিবডেনাম ডাইসালফাইড ব্যবহার করে এসব ন্যানোফ্লাওয়ার তৈরি হয়েছে। এর স্পঞ্জ–জাতীয় ছিদ্রযুক্ত গঠন ক্ষতিকর অণুগুলো টেনে নেয়। কোষের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এগুলো কাজ করতে থাকে।

গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অন্যতম গবেষক বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অখিলেশ গাহারওয়ার বলেন, আমরা সুস্থ কোষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা তাদের অতিরিক্ত দুর্বল কোষগুলোর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে। মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে আমরা বৃদ্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারি। এ প্রক্রিয়ায় কোনও জেনেটিক পরিবর্তন বা ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেম সেল স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেশী কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া শেয়ার করে। তবে ন্যানোফ্লাওয়ার ব্যবহারে এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। ফলস্বরূপ আশপাশের কোষে শক্তি পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।

গবেষণায় চমকপ্রদ ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, স্মুথ মাংসপেশির কোষে শক্তি পুনরুদ্ধার ৩ থেকে ৪ গুণ বেড়েছে। এছাড়া কেমোথেরাপি–ক্ষতিগ্রস্ত হৃদপেশির কোষে বেঁচে থাকার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দেখা গেছে। এই সাফল্য বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা, হৃদরোগ, মাংসপেশীর ক্ষয়সহ নানা অবক্ষয়জনিত রোগে নতুন চিকিৎসার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

জেনেটিসিস্ট জন সুকার বলেন, এটি খুবই সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি এবং অসংখ্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি কেবল শুরু—আমরা এ নিয়ে কাজ করলে আরও নতুন নতুন আবিষ্কার সামনে আসতে থাকবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খোরশেদ কাক্কুর ভাতের হোটেল পুড়ে ছাই

মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, প্রাণে রক্ষা পেলেন পাইলট

কক্সবাজার সৈকতে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হলো দানব ভাস্কর্য

রামপুরায় ২৮ জন হত্যা : ট্রাইব্যুনালে হাজির ২ সেনা কর্মকর্তা

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত রায় 

ফেক আইডি নিয়ে বিপাকে আফসানা মিমি

বার্ধক্য থামিয়ে দেওয়ার অবাক করা উপায় পেলেন বিজ্ঞানীরা

‘লাল টুকটুকে বউ’ সাজে নিশাত প্রিয়ম

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় এভারকেয়ারে চীনের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম

সোলমেট আসলে কী

১০

বিলুপ্তির পথে সেচযন্ত্র দোন-সেঁউতি

১১

কুড়িগ্রামে শীতের দাপট ও তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন

১২

ইনজুরি উপেক্ষা করে নেইমারের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক

১৩

বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে মারল বিএসএফ

১৪

দুপুরে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানাবেন ডা. জাহিদ 

১৫

নিজেকে ‘অর্ধনগ্ন’ মনে হতো: স্বরা

১৬

আইপিএল থেকে অবসর নেওয়ার কারণ জানালেন আন্দ্রে রাসেল

১৭

প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন বাউল শিল্পী সোনিয়া

১৮

সোনালি সাজে অপুর নতুন বার্তা

১৯

অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ : আপিল বিভাগ

২০
X