মাথাব্যথা আমাদের জীবনের এক সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর সমস্যা। কখনো হালকা ব্যথা, আবার কখনো এমন তীব্র যেটা দৈনন্দিন কাজকর্ম একদম থামিয়ে দেয়। অনেকেই ভাবেন সব মাথাব্যথা একই রকম, কিন্তু আসলে এর রয়েছে নানা রকমভেদ। যেমন- টেনশন হেডেক, মাইগ্রেন, ক্লাস্টার হেডেক কিংবা সাইনাসজনিত ব্যথা।
মাথাব্যথার ধরন বুঝতে পারলে, সঠিক চিকিৎসা ও প্রতিরোধ সম্ভব হয় অনেক সহজে। আজকের এই লেখায় আমরা আলোচনা করব মাথাব্যথার ১৪টি সাধারণ ধরন, কীভাবে আপনি ধরনটি চিনবেন এবং সে অনুযায়ী কী করবেন।
চলুন জেনে নিই ১৪ ধরনের মাথাব্যথা এবং এগুলো কখন গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার।
১. টেনশন হেডেক (চাপে তৈরি মাথাব্যথা)
২. ক্লাস্টার হেডেক (এক চোখ বা এক পাশে তীব্র ব্যথা)
৩. মাইগ্রেন
৪. হেমিক্রানিয়া কন্টিনুয়া
৫. আইস পিক হেডেক (ছুরি দিয়ে খোঁচা দেওয়ার মতো ব্যথা)
৬. থান্ডারক্ল্যাপ হেডেক (হঠাৎ ও তীব্র ব্যথা)
৭. অ্যালার্জি বা সাইনাস হেডেক
৮. হরমোনজনিত মাথাব্যথা (যেমন মাসিকের সময়)
৯. ক্যাফেইন হেডেক
১০. শারীরিক পরিশ্রমজনিত হেডেক
১১. উচ্চ রক্তচাপজনিত মাথাব্যথা
১২. ঔষধজনিত রিবাউন্ড হেডেক
১৩. আঘাত-পরবর্তী মাথাব্যথা
১৪. স্পাইনাল হেডেক (স্পাইনাল ফ্লুইড কমে গেলে)
নিচের উপসর্গগুলোর সঙ্গে মাথাব্যথা থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান :
- ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া
- শরীরে ফুসকুড়ি বা র্যাশ
- জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক মাথাব্যথা
- বমি
- বিভ্রান্তি
- কথা জড়ানো
- ১০৪ ডিগ্রি বা তার বেশি জ্বর
- শরীরের কোনো অংশে প্যারালাইসিস
- চোখে ঝাপসা দেখা বা দৃষ্টিশক্তি হারানো
মনে রাখবেন, এই লেখাটি সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। শরীরের যে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: হেল্থলাইন
মন্তব্য করুন