সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিস, ক্লাস বা নানা কাজের তাড়া থাকে সবারই। তাই অনেকেই ঝটপট নাশতা হিসেবে বেছে নেন পাউরুটি। একটু মাখন বা জ্যাম লাগিয়ে খাওয়া সহজ, সময়ও বাঁচে। কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিন এই পাউরুটি খাওয়া আপনার শরীরের জন্য হতে পারে নীরব বিপদ?
আরও পড়ুন : কাঁচা বা আধাসেদ্ধ ডিম উপকারী নাকি ক্ষতিকর, জানুন চিকিৎসকের মতামত
বিশেষজ্ঞরা বলছেন— নিয়মিত পাউরুটি খেলে শরীরে পড়তে পারে একাধিক নেতিবাচক প্রভাব। মেডিকেলনিউজ টুডে-র এক প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা দিয়েছেন স্পষ্ট সতর্কবার্তা। চলুন দেখে নিই কেন প্রতিদিন পাউরুটি খাওয়া ঠিক নয়:
১. খালি পেটে পাউরুটি? একদম না!
পাউরুটিতে থাকে ইস্ট, যা খালি পেটে গেলে শরীরের অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে পেটের অস্বস্তি, গ্যাস বা হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে খাওয়া একদমই ঠিক নয়।
২. মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে
পাউরুটির কিছু উপাদান দীর্ঘদিন খেলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। মানে, শুধু পেট না—মনের উপরেও ফেলছে নেতিবাচক প্রভাব।
৩. গ্যাস-অ্যাসিডিটি বাড়ায়
পাউরুটিতে থাকে গ্লুটেন, যা অনেকের জন্য হজমে সমস্যা তৈরি করে। নিয়মিত খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস বা অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়ে—বিশেষ করে যাদের পেট একটু সেনসিটিভ।
আরও পড়ুন : খাওয়ার পর করা এই ৮ কাজ ডেকে আনবে বিপদ, বলছেন বিশেষজ্ঞ
৪. পুষ্টিহীন ময়দার ফাঁদ
পাউরুটি মূলত পরিশোধিত ময়দা থেকে তৈরি। এতে ফাইবার খুব কম, কিন্তু কার্বোহাইড্রেট অনেক বেশি। এতে নেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল বা প্রোটিন। বরং বেশি খেলে হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পুষ্টির ঘাটতি।
৫. ওজন ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
পাউরুটিতে চিনি ও লবণ থাকে বেশি পরিমাণে। প্রতিদিন খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে, রক্তচাপও বাড়তে পারে। এর সঙ্গে ট্রান্স ফ্যাট থাকলে হার্টের জন্য ঝুঁকি আরও বাড়ে।
সময়ের অভাবে পাউরুটি খাওয়া সহজ হলেও, এখন সময় ভাবনার। বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন:
ওটস – দ্রুত তৈরি হয়, পুষ্টিতেও ভরপুর
ডিম – প্রোটিনে সমৃদ্ধ, পেটও ভরে থাকে
ফল বা বাদাম – সহজে মেলে, হেলদি ও সুস্বাদু
ঘরে তৈরি সবজি স্যান্ডউইচ – চাইলে ব্রাউন ব্রেড ব্যবহার করুন
আরও পড়ুন : ঘুমাতে যাওয়ার কত আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত জেনে নিন
পাউরুটি খেলে ক্ষতি হবে এমন নয়, কিন্তু প্রতিদিনের অভ্যাসে থাকলে সেটা শরীরের জন্য ধীরে ধীরে বিষ হয়ে উঠতে পারে। তাই সকালে কিছু সময় বের করে একটু বেশি যত্ন নিন নিজের জন্য। সময় বাঁচাতে গিয়ে যেন সুস্থতাকে হারিয়ে না ফেলি।
মন্তব্য করুন