সারাদিনের শেষে আমরা সবাই চাই একটা ভালো, শান্তিপূর্ণ ঘুম। কিন্তু রাতের খাবার যদি ঠিক সময়ে না খাওয়া হয়, তাহলে সেটা ঘুমের দুশমন হয়ে দাঁড়াতে পারে!
পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা বলেন, ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো। কেন? চলুন সহজভাবে জেনে নিই।
১. হজমের সময় দরকার হয়
খাবার খাওয়ার পর শরীরকে সেটা হজম করতে সময় লাগে। আর ঘুমানোর সময় হজমের গতি স্লো হয়ে যায়। তাই খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে গ্যাস, অম্বল বা বদহজম হতে পারে।
২. ভালো ঘুম আসে
খাওয়ার পর যদি সময় না দেন, তাহলে পেট ভার লাগে- আর তাতে ঘুমও ভালো হয় না। সময় মতো খেলে শরীর হালকা থাকে, ঘুমও হয় গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন।
৩. অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি কমে
খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে অনেক সময় পাকস্থলীর এসিড উপরের দিকে উঠে আসে, যাকে বলে এসিড রিফ্লাক্স। এতে বুকজ্বালা বা অস্বস্তি হতে পারে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
রাতের খাবার দেরিতে খেলে, আর তার পরপরই ঘুমিয়ে গেলে শরীর সেই খাবার থেকে পাওয়া ক্যালোরি খরচ করতে পারে না। এতে বাড়তে পারে ওজন।
ধরুন- যদি আপনি রাত ১১টায় ঘুমান, তাহলে রাতের খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো হবে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা হাঁটাহাঁটি করলে আরও ভালো।
খাবার হালকা রাখুন- ভাজাভুজি, বেশি চর্বি বা তেলজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার কম খান- এতে হজমের সমস্যা হতে পারে
ভরপেট না খেয়ে পরিমিত খান- যতটা দরকার, ততটাই খান
চাইলে খাবারের পর হালকা দুধ বা স্যুপ খেতে পারেন- তবে সেটা হতে হবে লাইট স্ন্যাকস হিসেবে
সহজ কথা, রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খান, হালকা হাঁটুন আর তারপর শান্তিতে ঘুমান!
সূত্র : হেল্থ লাইন
মন্তব্য করুন