

রক্তে শর্করার ওঠানামা শুধু ডায়াবেটিসের জন্যই নয় - অনিয়মিত খাবার, অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা বা ইনসুলিনের সমস্যা থেকেও হতে পারে। এমন অবস্থায় শরীর দুর্বল লাগে, ক্লান্তি আসে, মেজাজ খারাপ হয় এবং নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে পছন্দের খাবার বাদ না দিয়ে এবং কড়া ডায়েট না মেনে ও রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আমেরিকান চিকিৎসক ভ্যাসিলি এলিওপোলুস তাই প্রতিদিনের জীবনধারায় কিছু সহজ অভ্যাস করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
পর্যাপ্ত প্রোটিন খাবার: প্রতিদিনের খাবারে ২৫-৩০ গ্রাম প্রোটিন থাকা জরুরি। প্রোটিন রক্তের শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। মাছ, ডিম, মাংস, দুধ, চিজ, ডাল, বাদাম বা সয়া–প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন। ডায়াবেটিসদের জন্য ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটসহ খাবার ভালো।
খাবার পরিকল্পনা করুন: পছন্দের খাবার বাদ দিতে হবে না, তবে সঠিকভাবে খাবার খাওয়া জরুরি। প্রাতরাশ বা মধ্যাহ্নভোজে আগে ফাইবার ও প্রোটিন এবং পরে কার্বোহাইড্রেট নিন। উদাহরণস্বরূপ, ভাত বা রুটি খাওয়ার আগে সালাদ বা সবজি খেলে রক্তে শর্করা দ্রুত বেড়ে যায় না।
খাবারের পর হালকা হাঁটা: ভ্যাসিল এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা বলেন, খাবারের ৫-১০ মিনিট পর হালকা হাঁটা করা উচিত। ১০-১৫ মিনিটের সাধারণ পায়চারি যথেষ্ট। এতে গ্লুকোজ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং হঠাৎ শর্করা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।
পর্যাপ্ত ঘুম: রাতের ভালো ঘুম ইনসুলিনের কাজের জন্য জরুরি। ভ্যাসিল বলেন, ঘুম না হলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা কমে যেতে পারে। ঘুমের সময় নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া উচিত, মুখ খোলা করে নয়।
মানসিক চাপ কমান: উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা এবং মন খারাপ কর্টিসল হরমোন বাড়ায়, যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমায়। সকালে খোলা হাওয়ায় হাঁটা, ব্যায়াম, রোদে থাকা বা প্রাণায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
এই সহজ পাঁচটি অভ্যাস মেনে চললে ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থাকা সত্ত্বেও রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সূত্র : আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন