ওজন কমাতে গিয়ে সবাই চায় এমন কিছু খেতে, যেটা মুখরোচক হয় আবার ক্যালরিও কম দেয়। বারবার ক্ষুধা লাগলেও কিছু না কিছু না খেয়ে থাকা যায় না, আবার হাতের কাছে হেলদি নাশতা থাকলে একটু খাওয়ার সময় আর গিল্টিও থাকে না।
আরও পড়ুন : এক মাসে কতটা ওজন কমানো নিরাপদ, জানালেন চিকিৎসক
আরও পড়ুন : শসায় ওজন কমে? জানুন পুষ্টিবিদ কী বলছেন
ঠিক এই জায়গায় পপকর্ন হতে পারে এক চমৎকার সঙ্গী। তবে যে কোনো পপকর্ন নয়—পছন্দ করতে হবে সঠিক পপকর্ন। চলুন জেনে নিই, ওজন কমানোর পথে পপকর্ন কতটা কার্যকর, আর কোন ধরনের পপকর্ন খাওয়া উচিত, আর কোনটা এড়িয়ে চলবেন।
১. ক্যালোরি কম, পেট ভরায় বেশি
সাধারণ ক্ল্যাসিক পপকর্ন—যেটা শুধু হট এয়ারে বানানো হয়, তাতে প্রতি কাপ মাত্র ৩০-৩৫ ক্যালরি থাকে। তাই পেট ভরে খাওয়া গেলেও অতিরিক্ত ক্যালরি আসে না।
২. ফাইবার বেশি – হজমে সহায়ক
পপকর্নে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে, পাশাপাশি খিদে কমায়। যার ফলে অযথা বারবার কিছু খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
৩. ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ভুট্টার দানা থেকে তৈরি হওয়ায় এতে থাকে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট—যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং হার্টের জন্যও ভালো।
কোন পপকর্ন খাওয়া যাবে না?
সব পপকর্ন কিন্তু ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত নয়! অনেক পপকর্নে অতিরিক্ত লবণ, বাটার, চিজ, ক্যারামেল বা চকলেট থাকে—যেগুলো খেলে ক্যালোরি বেড়ে যায় অনেক গুণ। এই পপকর্নগুলো বরং ওজন বাড়িয়ে দেয়!
- বাটার/চিজ পপকর্ন
- মিষ্টি বা ক্যারামেল পপকর্ন
- চকলেট/বারবিকিউ ফ্লেভার
- অতিরিক্ত লবণ দেওয়া প্যাকেটজাত পপকর্ন
কোন পপকর্ন খাবেন?
ক্ল্যাসিক বা হোমমেড পপকর্ন
যে পপকর্ন গরম হাওয়ায় (হট এয়ার) বানানো হয়, কোনো তেল বা মাখন ছাড়া—সেই ক্ল্যাসিক পপকর্নই ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো।
- স্বাদের জন্য সামান্য বিট লবণ, গোলমরিচ বা স্বাস্থ্যকর হার্ব মেশাতে পারেন।
- দিনে ২-৩ কাপ পর্যন্ত খাওয়া নিরাপদ।
- যদি আপনার গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা বা আইবিএস (IBS) থাকে, তাহলে ফাইবার বেশি হওয়ায় সমস্যা বাড়তে পারে। তাই খাওয়ার আগে সাবধান থাকুন।
আরও পড়ুন : খালি পেটে গরম পানিতে হবে ম্যাজিক!
আরও পড়ুন : চকলেট নিয়ে ৮ মজার তথ্য
পপকর্ন এমন এক খাবার যা ঠিকভাবে খেলে ওজন কমাতে দারুণ সহায়তা করতে পারে। তবে বাজারে যা-তা পপকর্ন কিনে খেলেই হবে না—স্মার্ট চয়েস করতে হবে।
তাই স্মার্ট নাশতা হিসেবে ক্ল্যাসিক, হোমমেড, লো ক্যালরি পপকর্ন বেছে নিন!
সূত্র: ইটিং ওয়েল
মন্তব্য করুন