চকলেট— এই নামটা শুনলেই যেন মনটা ভালো হয়ে যায়, তাই না? পৃথিবীর প্রায় সবাই চকলেট ভালোবাসে। ছোটবেলা থেকেই আমরা চকলেট খেয়ে বড় হয়েছি, কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছি কি, এই চকলেট নিয়ে আসলে কত মজার মজার তথ্য লুকিয়ে আছে?
আরও পড়ুন : ব্রাশ করার পরও মুখে গন্ধ? চিন্তার কিছু নেই, সমাধান আছে
আরও পড়ুন : শিশুর চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ জেনে নিন
চলুন জেনে নিই এমন কিছু আশ্চর্য তথ্য, যা আপনি সম্ভবত আগে কখনোই শোনেননি!
চকলেট আসলে একটি ফল!
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। যদিও আমরা চকলেটকে ফল হিসেবে ভাবি না, কিন্তু এর মূল উপাদান আসে থিওব্রোমা গাছের ফল থেকে। এই গাছে জন্ম নেয় কাকাও পড, যেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে, শুকিয়ে, ভেজে চকলেট তৈরি করা হয়।
এক পাউন্ড চকলেট তৈরি করতে লাগে প্রায় ৪০০টি কাকাও বিন!
একটা চকলেট বার খেতে যত সহজ মনে হয়, এর পেছনে কিন্তু অনেক কষ্ট। প্রতিটি কাকাও পডে থাকে প্রায় ৪০টি বিন, অর্থাৎ ৪০০ বিন মানে কমপক্ষে ১০টি পড লাগবে মাত্র এক পাউন্ড চকলেট তৈরি করতে!
একেকটা থিওব্রোমা গাছ বছরে দেয় ২৫০০টি বিন!
এই গাছ থেকে বছরে যত বিন পাওয়া যায়, তা দিয়ে তৈরি হয় প্রায় ৬.২৫ পাউন্ড চকলেট, যা দিয়ে বানানো যায় প্রায় ৩৩টি বড় চকলেট বার! এখন বুঝতেই পারছেন, এত চকলেট বানাতে কত গাছ লাগে!
এই গাছ ফল দিতে শুরু করে ৪-৫ বছর পর!
চকলেট গাছ চাষ করা সহজ নয়। একেকটা গাছকে পরিপূর্ণ হতে লাগে ৪ থেকে ৫ বছর। তার আগে চাষিরা শুধুই পরিচর্যা করেন, ফল পাওয়ার আশায়।
হট চকলেটই ছিল প্রথম চকলেট ট্রিট!
চকলেট খাওয়ার শুরুর ইতিহাসে ছিল হট চকলেট ড্রিঙ্ক। এক সময় এটা ছিল শুধু রাজাদের জন্য, কারণ তখন এটা ছিল খুব দামি এবং বিশেষ। পরবর্তীতে যখন মেশিন দিয়ে চকলেট তৈরি সম্ভব হলো, তখন সবার জন্য সহজলভ্য হয়ে যায় এই মজার মিষ্টি।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চকলেট আসে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে!
বিশ্বের প্রায় ৭০% চকলেটের কাঁচামাল আসে আইভরি কোস্ট (Côte d'Ivoire) বা পশ্চিম আফ্রিকা থেকে। এখানকার কাকাও বিনের স্বাদ একটু হালকা, যেটা বেশিরভাগ চকলেট ক্যান্ডিতে ব্যবহার করা হয়।
প্রথম চকলেট বার তৈরি হয়েছিল ১৮৪৭ সালে!
আমাদের চেনা চকলেট বার আসলে প্রথম বানিয়েছিলেন ব্রিটেনের জোসেফ ফ্রাই এবং তার ছেলে। সেই একটা ছোট বার থেকেই এখন তৈরি হয়েছে হাজারো ধরনের চকলেট বার আর সুস্বাদু ট্রিটস, যা সবার পছন্দের তালিকায়।
হোয়াইট চকলেট আসলে চকলেট নয়!
হোয়াইট চকলেট দেখতে চকলেটের মতো হলেও, আসলে এতে চকলেটের মূল উপাদান কোকো লিকার থাকে না। এতে থাকে কোকো বাটার, দুধ, ভ্যানিলা, আর চিনি— এই কারণে এর রং সাদা এবং স্বাদটাও আরও হালকা আর মসৃণ।
বোনাস : চকলেট খেলে মন ভালো হয়!
চকলেট শুধু স্বাদেই ভালো না, এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা মস্তিষ্কে এন্ডরফিন ও সেরোটোনিন নিঃসরণ করে, যা আপনাকে করে আরও খুশি! তাই তো চকলেট খাওয়া মানেই হ্যাপি মুড!
আরও পড়ুন : শিং মাছ খেলে শরীরে সত্যিই রক্ত বাড়ে কিনা জানাচ্ছেন চিকিৎসক
আরও পড়ুন : সকালে ঘুম থেকে উঠেই পায়ে ঝিঁঝি? জানুন কেন হয়
চকলেট শুধু মিষ্টি নয়, এর পেছনে আছে অনেক ইতিহাস, বৈজ্ঞানিক তথ্য, আর কৃষকের কঠোর পরিশ্রম। পরের বার যখন আপনি একটা চকলেট বার খাবেন, মনে পড়ে যাবে এই মজার কথাগুলো!
সূত্র : হার বিউটি
আর্কাইভ 
| ০৪ নভেম্বর ২০২৫ 
